মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
সুদেব রায়
সুদেব রায়
অন্য এক কবি ও কবিতা
আমি গাছের সম্মুখে দাঁড়াতে পারি মাথা উঁচু করে,
পাহাড়ের সম্মুখেও দাঁড়াতে পারি মাথা উঁচু করে,
শুধুমাত্র দাঁড়াতে পারিনা বাবার শক্ত মুখের মুখোমুখি ...
দৈনিক ঘুড়ির ঝাঁক, মানুষের ঝাঁক, কবুতারের ঝাঁক দল বেঁধে উড়ে
শব্দ শুনি , ছবি আঁকি , হাক ছাড়ি...
জানি এসবের কোন মানে নেই
একদম অনার্থ ,পাগল শব্দ উচ্চারণের মত !
একটু আগে আমার ভিতর তিনটি মানুষ প্রবেশ করল
একজন দুধরং , আরেকজন মাটি'রং
আর অন্যজন তো কচুরিপানার চুলের মত কুচকুচে...
একজন শাবল মারতেই সুরঙ্গ বেরিয়ে এলো
সরু সিঁড়ি পথ , মনে হয় বহু গাছ আগের সুরঙ্গ
( হতে পারে যীশু খ্রিস্টের জন্মের অনেক আগে, হতে পারে পৃথিবীর সৃষ্টির অনেক আগে,
হতে পারে ঈশ্বর সৃষ্টির অনেক অনেক আগে ;
যদিও ঈশ্বর'র সৃষ্টি নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ আছে ।)
এর পর খোঁড়া নিষেধাজ্ঞা আছে মানুষের , নিষেধাজ্ঞাদ্ধ আছে সমাজের, নিষেধাজ্ঞা আছে
এই খানে সোজা হয়ে দাঁড়াও
জল ,মাটি , কাদা
মাখনের মত বুকে পুঁতে দাও গাছ
সবুজ হয়ে উঠুক , ধূসরতা ভেঙে পড়ুক
সমস্ত উটের পিঠে আর মানুষের যকৃতের ভিতর
উড়তে থাকুক সবুজ পতাকা
থ্যাতলানো পাহাড়ের শরীরে ঝুম চাষ শুরু হোক
( কবি, শিল্পী, বাউল, আর্টিস্ট)
ধানক্ষেতের নাভি ধরে বেঁচে থাকুক ভালোবাসা...!
চোখ ,মুখ ,নাক , কান
সভ্যতার বাউল গান গেয়ে চলা দক্ষিণাবাতাস
খেজুরের পাটির একপাশে জেগে আছে জোড়া চোখ
মনে হয় দুটি নদী ,
মনে হয় দুটি আকাশ,
মনে হয় দুটি সুবিশাল মাঠ
মনে হয় দুটি সুন্দরবন
জেগে আছে উন্মাদ বাউলের মত
জেগে আছে উম্মাদ বাঁশির সুরের মত
(। শুধুমাত্র স্বাধীনতার অপেক্ষায় , শুধুমাত্র সবুজ দেখার অপেক্ষায়...!)
যদিও স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণের কথা মত আমি তুমি স্বাধীন দেশের নাগরিক
আমাদের চারপাশে সবুজ আর সবুজ ।
সবুজ ঘাসের উপর আমি হেঁটে চলি
হেঁটে হেঁটে নদী পাড় হই
হেঁটে হেঁটে পাহাড়ের ওপাশে যাই
ছোট্ট ছোট্ট ঘরবাড়ি , ছাগল ভেড়া মানুষ গাছ
আকাশের নীচে কলরব শিল্পীগোষ্ঠী
আমি হেঁটে চলি , নিস্তব্ধতার দিকে
পিছনে ফিরে দেখে ....
সবুজ ধীরে ধীরে লাল হয়ে আসছে
তারপর কেঁউ একজন কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে দিল........
পেইন্টিং অফ হিউম্যান
১.
জঠে পাকা লালবদুক - ন
নারীর ট্যালিতে ক্যান্সার
হো হাতি পুরুষের পিঠে---- ৭ পুরুষ π।
২.
লাল জামা বেণু রতি
এক টেনিসে চামুচ গ্যালাক্সি
টুপ দাড়ির ফাঁকে লেজা - টেংরি
ষ বারে হলুদ বানর
জ্যা ব্লাউজী থমথমে দেহ - এ
চার বোতল আর কয়েকটা ইঁদুর শ্রমিক।
দৌহি। ক্ষৌরকর্ম। মানউশস ।
৩.
জ্যামে ত্রিভুজ-- রেড লাইট
সুইচ অফ দ্যা পেনডেমনিয়াম
ফুটান্ত জিরাফে অ্যালকোহল
পেনিডেটা - স ( ভিতরে ভার্জিনিটি)
আলোকপাত । বীর্যক্ষরণ । পেইন্টিং অফ হিউম্যান।
ফর দ্যা ডেডলক
১.
সমীকরণের ভিতর ঘুটঘুটে অন্ধকার ফর দ্যা ডেডলক
ত্রিভুজ কাটা চামচ হাতে বাইশ মাইল চটি ছিঁড়ে
স্টেশনের গরম হাওয়ায় শরীর ট্রেন ভাসমান
ব্যাস ,দ্যাট ইজ এজি ওভার ব্রিজ লকলকে
তিন ,তিপ্পান্ন , ছাপ্পান্ন উৎপন্ন হয় সাতচল্লিশ নিখোঁজ।
২.
মগ মগ জল আঁচড়ে চুলঘুম বাইবেল ভাঙা বেদ
ইলেকট্রন বিন্যাস কাটাছেঁড়া পেতে পৈতে ফু বাঁশি
সালফারিক পুরুষ ক্যায়াচে ভাত ঘুমটা সেড়ে নেয়
টু দ্যা সিমিলার ম্যান অব হেল , বিষাক্ত রাসায়নিক
ৎ। মানুষ।
৩.
মবমেন্টালিটি । জাত। পাত। হো । হো ।
মগজ ধোলাই শাকচুন্নি ইস্যু অফ রিলিজিয়ন
নর্দমার জলে ভাসমান ত্রিকোণমিতিক শালিক
সমীকরণের ভিতর ঘুটঘুটে অন্ধকার--- ( মুখ)।
সবশেষে উপড়ে ফেলে শিকড়
১.
শক্ত দাঁত নরম বিছানায় নাচে
উঠান ভাঙা চিরুনির ফাঁকে ফাঁকে ১.২ সেন্টিমিটার দূরত্ব
লকলকে লাইন গুলো ছাপাখানায় ছাপোষা।
২.
হাতির দাঁতের উপর গন্ড আর্ট
কাটাকুটি বক শালিকের পেটে সাতচল্লিশ পুরুষ
ভনভন করতে করতে মানুষগুলো যান্ত্রিক ।
৩.
গন্ড আর্ট কিংবা ডট আর্ট ভিআইপি ব্যাপার
কান্ডজ্ঞানহীন মাথাগুলো উদ্ধার করেছে বনমহিষ
ক্ষিদে পেটে শুয়ে আছে কলকাতা ।
৪.
গ্লাস গ্লাস জল কিঞ্চিৎ লেবুর রস পাঁচ টাকা
সাইকেল চড়ে মঙ্গল গ্রহ ছুটে আসছে
ঘরে ঘরে মন্দির মসজিদ গির্জা প্যাগোডা ।
৫.
দা কুমড়া ,
মানুষ চাষ খুব করে বন্ধ
সরকার এখন তুঙ্গে।
৬.
মিটার বক্স ফেটে লালা ঝরে
বুদ্ধিজীবী হওয়া মানা আছে
চোখ বুজে, মাছ ধরার কথা আছে।
৭.
খুব যত্নে করে দেবদারু গাছ বেড়ে ওঠে
ট্রামে চেপে ক্ষমতা এসে
কেটে ফেলে ডাল, লগ, সবশেষে উপড়ে ফেলে শিকড় ।
রোমান্স
ফুটিফুটি বাদম ভেঙে
যেদিন বৃষ্টি এসে বুঁদবুঁদি কেটে দেয়
পিঁপড়ার মত পিছু ছুটেছিলাম
একটি পাহাড় পেয়েছিলাম ।
No comments:
Post a Comment