মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
সোনালী দাস সরকার অণুগল্প
সোনালী দাস সরকার অণুগল্প
ফস্কা গেড়ো
কান পাতিলে গাল আসিয়া লুটোপুটি খায় পাঞ্জার ফাঁকে। লাল এমনই - জেন গোধুলীর শেষ আভা রক্তিম করে গেল মুখটা কে।ইংরাজীর ইমারত গড়তে বাংলার ঘরে ধস নেমে এসেছে। ধরাশায়ী বাংলা ভাষা।
পিতার আবেদনে দ্বিতীয় ভাষায় নয় তৃতীয় ভাষার, বাংলা আসন গ্রহণ করি পাঠ্যে।
আজ দিদি মুনি খাতা তুলিয়ে দিলেন মায়ের হাতে কুড়িতে এক পাইয়াছি। তাই ফাদার অর্থাৎ বিদ্যালয়ের পিতা তাড়াইয়া দিবেন সিদ্ধান্ত লইয়াছেন।আজ বড় দুক্ষে সংলাপ লিখিতেছি।কেন ইংরাজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে বাংলার জন্য ছাড়পত্র নাই? ইংল্যান্ড সরকার বাংলা পাঠ্য তালিকায় মান দিয়েছেন তাই?আমাদের মত ভোঁদা বাঙালীর বিদেশে আবার নাকানিচোবানি। যেমন বিদ্যাসাগর মহাশয় ফোর্টউইলিয়াম কলেজে সিভিলিয়ানদের বাংলা ভাষা না জানায় পরীক্ষায় ফেল করিয়েছিলেন! দ্রিকশান্ত ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনায়- "বাংলায় যেন উৎরাইয়া দেন"!
পিতার আবেদনে দ্বিতীয় ভাষায় নয় তৃতীয় ভাষার, বাংলা আসন গ্রহণ করি পাঠ্যে।
আজ দিদি মুনি খাতা তুলিয়ে দিলেন মায়ের হাতে কুড়িতে এক পাইয়াছি। তাই ফাদার অর্থাৎ বিদ্যালয়ের পিতা তাড়াইয়া দিবেন সিদ্ধান্ত লইয়াছেন।আজ বড় দুক্ষে সংলাপ লিখিতেছি।কেন ইংরাজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে বাংলার জন্য ছাড়পত্র নাই? ইংল্যান্ড সরকার বাংলা পাঠ্য তালিকায় মান দিয়েছেন তাই?আমাদের মত ভোঁদা বাঙালীর বিদেশে আবার নাকানিচোবানি। যেমন বিদ্যাসাগর মহাশয় ফোর্টউইলিয়াম কলেজে সিভিলিয়ানদের বাংলা ভাষা না জানায় পরীক্ষায় ফেল করিয়েছিলেন! দ্রিকশান্ত ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনায়- "বাংলায় যেন উৎরাইয়া দেন"!
আমার পুরানো সেই দিনের কথা-
কবিতার আঁতুড়ঘর আমার পিতৃগৃহ। ছোট্ট বেলা খেলার মত লেখা কবিতা বাবার সাথে তালছন্ধ বদ্ধ ছিল আমার ভালো লাগা। আজ আমার যা কিছু বাবাকে উৎসর্গ করা।
বিদ্যালয়ে লেখা কবিতা পাঠ অনেকটা আবছা কিন্তু পাকা পোক্ত ভাবে আমার লেখা ছাপা হয়- লিটিল ম্যাগাজিন "শারদীয় সতীর্থ " তে।আমি আনন্দিত। আমার বহু লেখার মধ্যে "নিষিদ্ধ যজ্ঞ" ফাস্ট ইয়ারের পড়ার সময়ে লেখা।যে লেখা পড়ে বাবা অবাক হয়ে গিয়ে ছিলেন।শ্রদ্ধা এই টুক জানাতে পারায়।
ধন্যবাদ!! আরো বাকী অনেক বলা--
No comments:
Post a Comment