মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
দেবযানী বসু
ইজিচেয়ারের মাথাব্যথা
প্রাথমিক শব্দরা দোল খেলে উঠল
বড়োদের দোল আর ছোটদের দোল সম্পূর্ণ মালকোষ তৈরি করে। মরা কোষ ঝরায়।
দাবিগুলো সহজবোধ্য হল আকাশে চাঁদ উঠতেই। গলে পড়ছে জ্বর। দরবারি জ্বর কানাড়ায় কড়া নাড়ে। চাঁদকে আকাশছাড়া করার আয়োজনে খামতি নেই। চাঁদ কিন্তু গ্যালারি বিমুখ। ভিতরের ক্ষতদাগ পটাশিয়াম কমের কারণে। লৌহ রক্তে কম ব'লে। সে এসেছে ইজিচেয়ারের সংস্পর্শে। যা কিছু ভেল্কি চমকিত তার বামনযন্ত্রে ধরা পড়ছে না।
নির্দেশিকা
ঢেউয়ের মধ্যলয় গৎ আর বিস্তার রাতের ধ্রুপদী আলো বুকে তুলে নেয়। দিগন্ত সাপ ছুঁড়ে দিচ্ছে। সাপ শোয়ানো পাহাড়। হারমোনিয়াম বেয়ে উড়ছে উড়কি ধানের মুড়কি মোয়ারা। মুহূর্তগুলোকে ছোঁয়ার বদলে তৃতীয় বন্ধনীর মধ্যে জমিয়ে রাখছি। ঢেউয়ের উপরে আক্রমণ ঝিঁকিয়ে উঠছে। ঝিনুকের আঘাত বোঝে ফেনার গীতিকবিতা। কূট দাঁত দিয়ে তৈরি দেয়াল। হরপ্পানগর কাজ শিখিয়ে ফিরে যায়। সমুদ্র পিটিয়ে চোখ ফিরে যাচ্ছে ডিমের খোলার বন্ধনীতে।
নিঝুম কর্ডের কাছে
মালঞ্চ দেখে ঘাবড়ে যাচ্ছি। পাশেই দোল খাচ্ছে বাঘ। একটানা ঘুরছে মাগারেসা। বাঘের হরমোন সৌরভ। নাক্ষত্রিক বিশাল বিশাল চিৎকার। আড় ভেঙে মৃত্যু ছুটে চলেছে। নষ্টসন্তানের মা কাক ত্রিশঙ্কু ঝুলে আছে। নির্বাসিত চড়ুইদের খিচুড়িভোগ পেতে দেব না। রাতের সাগরমালায় মরফিন ঝরে। লালা। আকাশেই পিঠ ঠেকে গেছে। নিঝুম কর্ডের সোনামাজা মুখ। তাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বাজাই।
পূরবানুবৃত্তি হল না
মুহূর্তে পড়া গিঁটের শক্তি বেশি। লক্ষ চড়ুইদের ভালো না লাগার মধ্যে দিয়ে হেঁটে চলেছি। আকাশছোঁয়া দেয়ালের গলি। লক্ষ চড়ুইয়ের ঠোঁটের আঘাতে শক্ত পিঠ। সব দেয়ালে খেলছে বাতিছায়া কোমল রেখাব। পেরিয়ে গিয়েছে স্পর্শক্রান্তি রেখা আমার হাড় ভেদ করে। ঝোলা চোয়াল আর লিকলিকে ঘাড়ে কেমন মানিয়েছিল দিনটি। ঐতিহ্য পাল্টানোর বাতিকে কবিতা শাসনের বাড়িটি থম মেরে দাঁড়িয়ে ছিল।
শিশুপাঠ্য কান্না
জামা তুললেই বিশাল যন্ত্রটির টগবগানো চোখে পড়ে। একটি চঞ্চল বর্শা আরো এঁকেবেঁকে দৌড়চ্ছিল। হঠাৎ আমি কোমরভাঙা পদ্মগোখরো হয়ে গেলাম। এগিয়ে আসা রাতের সমুদ্র উদার ও গোপন ছুটি লিখে দেয়। ভয়ংকর সত্যির এক গোলাপি রঙ স্কার্ফ হত্যা করে লুকিয়ে পড়ে। যমজ শহরের কোকিল কোকিলারা মাঝপথে এসে কষাটে পেয়ারার সঙ্গে পরিচিত হয়। আছোঁয়া হাতের বিদায় কতোটা তির্যক পড়েছে হৃদয়ে সসেমীরা রাস্তা বুঝতে পারে না।
দেবযানী বসু
ইজিচেয়ারের মাথাব্যথা
প্রাথমিক শব্দরা দোল খেলে উঠল
বড়োদের দোল আর ছোটদের দোল সম্পূর্ণ মালকোষ তৈরি করে। মরা কোষ ঝরায়।
দাবিগুলো সহজবোধ্য হল আকাশে চাঁদ উঠতেই। গলে পড়ছে জ্বর। দরবারি জ্বর কানাড়ায় কড়া নাড়ে। চাঁদকে আকাশছাড়া করার আয়োজনে খামতি নেই। চাঁদ কিন্তু গ্যালারি বিমুখ। ভিতরের ক্ষতদাগ পটাশিয়াম কমের কারণে। লৌহ রক্তে কম ব'লে। সে এসেছে ইজিচেয়ারের সংস্পর্শে। যা কিছু ভেল্কি চমকিত তার বামনযন্ত্রে ধরা পড়ছে না।
নির্দেশিকা
ঢেউয়ের মধ্যলয় গৎ আর বিস্তার রাতের ধ্রুপদী আলো বুকে তুলে নেয়। দিগন্ত সাপ ছুঁড়ে দিচ্ছে। সাপ শোয়ানো পাহাড়। হারমোনিয়াম বেয়ে উড়ছে উড়কি ধানের মুড়কি মোয়ারা। মুহূর্তগুলোকে ছোঁয়ার বদলে তৃতীয় বন্ধনীর মধ্যে জমিয়ে রাখছি। ঢেউয়ের উপরে আক্রমণ ঝিঁকিয়ে উঠছে। ঝিনুকের আঘাত বোঝে ফেনার গীতিকবিতা। কূট দাঁত দিয়ে তৈরি দেয়াল। হরপ্পানগর কাজ শিখিয়ে ফিরে যায়। সমুদ্র পিটিয়ে চোখ ফিরে যাচ্ছে ডিমের খোলার বন্ধনীতে।
নিঝুম কর্ডের কাছে
মালঞ্চ দেখে ঘাবড়ে যাচ্ছি। পাশেই দোল খাচ্ছে বাঘ। একটানা ঘুরছে মাগারেসা। বাঘের হরমোন সৌরভ। নাক্ষত্রিক বিশাল বিশাল চিৎকার। আড় ভেঙে মৃত্যু ছুটে চলেছে। নষ্টসন্তানের মা কাক ত্রিশঙ্কু ঝুলে আছে। নির্বাসিত চড়ুইদের খিচুড়িভোগ পেতে দেব না। রাতের সাগরমালায় মরফিন ঝরে। লালা। আকাশেই পিঠ ঠেকে গেছে। নিঝুম কর্ডের সোনামাজা মুখ। তাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বাজাই।
পূরবানুবৃত্তি হল না
মুহূর্তে পড়া গিঁটের শক্তি বেশি। লক্ষ চড়ুইদের ভালো না লাগার মধ্যে দিয়ে হেঁটে চলেছি। আকাশছোঁয়া দেয়ালের গলি। লক্ষ চড়ুইয়ের ঠোঁটের আঘাতে শক্ত পিঠ। সব দেয়ালে খেলছে বাতিছায়া কোমল রেখাব। পেরিয়ে গিয়েছে স্পর্শক্রান্তি রেখা আমার হাড় ভেদ করে। ঝোলা চোয়াল আর লিকলিকে ঘাড়ে কেমন মানিয়েছিল দিনটি। ঐতিহ্য পাল্টানোর বাতিকে কবিতা শাসনের বাড়িটি থম মেরে দাঁড়িয়ে ছিল।
শিশুপাঠ্য কান্না
জামা তুললেই বিশাল যন্ত্রটির টগবগানো চোখে পড়ে। একটি চঞ্চল বর্শা আরো এঁকেবেঁকে দৌড়চ্ছিল। হঠাৎ আমি কোমরভাঙা পদ্মগোখরো হয়ে গেলাম। এগিয়ে আসা রাতের সমুদ্র উদার ও গোপন ছুটি লিখে দেয়। ভয়ংকর সত্যির এক গোলাপি রঙ স্কার্ফ হত্যা করে লুকিয়ে পড়ে। যমজ শহরের কোকিল কোকিলারা মাঝপথে এসে কষাটে পেয়ারার সঙ্গে পরিচিত হয়। আছোঁয়া হাতের বিদায় কতোটা তির্যক পড়েছে হৃদয়ে সসেমীরা রাস্তা বুঝতে পারে না।
No comments:
Post a Comment