মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
নাসির ওয়াদেন
কেনো ডাকো আমাকে
শুধু আমাকেই ডাকো কেনো বেলা
হরিণের দেশে, মাঠের বাউলে
অপেক্ষা বিছিয়ে দিই পোড়াভাতে
হলুদ আঁচলে ছায়াসুখ পেতে
রাখি দুরন্ত ভেজা ভেজা চুল
বসন্ত আকাশে একান্ত মেঘ এসে
ভিজিয়ে দিয়েছে তপ্ত-অংকের খাতা
সহজেই রোদ পেরিয়ে যায় মাঠ
ওই মাঠে ফুল আঁকি পলাশ,রঞ্জন
আগুনকেও কাছে ডাকি, রঙফুলে
মেহেদী রঙা মৃত ঘাস
সম্পর্কের গন্ধ শুঁকে নিহত আশ্রয়ে
পোড়া
বিশ্বাসের লম্বা সেতু দিয়ে হাঁটি, পথ
মাথার আকাশে পায়চারি মেঘ ঝরে
নির্ভেজাল দুপুরের ক্লান্তি মেঘ, শরত
ভুবনডাঙ্গার মেঘ রঙিন নৌকার দাঁড়ে
সত্যের কাছাকাছি পলিমাটি ছোঁয়া ফাগ
বসন্ত বসনে ঢাকি ফেরারি কলমে নীলদাগ
ছোঁয়াচে বাতাস-কান ভর্তি আশীর্বাদীফুলে
উদ্বাস্তু আলোর কাছে না-চলা পথে চলে শুধুই মহড়া
রোদ ভেসে ওঠে লাগোয়া কলমিলতার দুলে
আগুনে সন্ত্রাসদাগে ছটপটে পা দু'খানি শুধু পোড়া ।
সম্পর্কের ছায়া-ডাল
ছায়াহীন সুখ-মাখা আলোর সোহাগ, কিঙ্করী
বিশ্বাসের ছায়ায় ভিজিয়ে দিয়েছে যৌবন
বেঁধে দিই লাল ফুল খোঁপায়, হাতে রঙ চুড়ি
সূর্য ধোয়া বাড়ি থেকে ভাসে সুখি মনপবন
অন্ধকার ভয় পায়, রাত্রি খোঁজে আলো
তুমি তো আমার ছিলে, তোমাকেই বাসি ভালো
রসিক শিখা পায়চারি করে সহজ সরল ঘর
বিছানায় শুয়ে আছি, ভীষ্ম পিয়াস জুড়ে অন্তর
দুরবতী স্বপ্নগুলো ঝোলা নিয়ে করে মাধুকরী
টগবগে মেয়ে তুমি, ঠোঁটে আঁকা চন্দ্র-ময়ূরী
সম্বন্ধ সরলরেখায় চলে, বিশ্বাসের ভাঙা ডালে
একান্ত অসুখিমেঘ এসে মুগ্ধ নদীজলে ঢেউ তোলে
ছায়াহীন সুখ
যা কিছু সম্পর্ক ছিল হলুদ বাতাস এসে
ভিজিয়ে দিয়েছে চোখ উদ্বাস্তু আলোয়
বসন্ত ভেজা আকাশ অপেক্ষা বসে
নীরবে কাঁদে ভুবনডাঙ্গার মেঘ, সজল ওই
আগুনের সন্ত্রাস চিহ্ন আঁকা ফেরারি বুক
, রসিক শিল্পগুলো আঁকি তামাটে শরীরে
সবুজ ছায়া উড়ে, সকাল সন্ধ্যার অসুখ,
অবিশ্বাসের নোংরা জলে, উড়ন্ত দুপুরে
সূর্য-ধোয়া আলয় যেখানে ছিল এক ছায়াহীন সুখ
একদিন পূণ্যতোয়া ঘাসজলে ভরিয়ে দিয়েছে এ মুখ
নাসির ওয়াদেন
কেনো ডাকো আমাকে
শুধু আমাকেই ডাকো কেনো বেলা
হরিণের দেশে, মাঠের বাউলে
অপেক্ষা বিছিয়ে দিই পোড়াভাতে
হলুদ আঁচলে ছায়াসুখ পেতে
রাখি দুরন্ত ভেজা ভেজা চুল
বসন্ত আকাশে একান্ত মেঘ এসে
ভিজিয়ে দিয়েছে তপ্ত-অংকের খাতা
সহজেই রোদ পেরিয়ে যায় মাঠ
ওই মাঠে ফুল আঁকি পলাশ,রঞ্জন
আগুনকেও কাছে ডাকি, রঙফুলে
মেহেদী রঙা মৃত ঘাস
সম্পর্কের গন্ধ শুঁকে নিহত আশ্রয়ে
পোড়া
বিশ্বাসের লম্বা সেতু দিয়ে হাঁটি, পথ
মাথার আকাশে পায়চারি মেঘ ঝরে
নির্ভেজাল দুপুরের ক্লান্তি মেঘ, শরত
ভুবনডাঙ্গার মেঘ রঙিন নৌকার দাঁড়ে
সত্যের কাছাকাছি পলিমাটি ছোঁয়া ফাগ
বসন্ত বসনে ঢাকি ফেরারি কলমে নীলদাগ
ছোঁয়াচে বাতাস-কান ভর্তি আশীর্বাদীফুলে
উদ্বাস্তু আলোর কাছে না-চলা পথে চলে শুধুই মহড়া
রোদ ভেসে ওঠে লাগোয়া কলমিলতার দুলে
আগুনে সন্ত্রাসদাগে ছটপটে পা দু'খানি শুধু পোড়া ।
সম্পর্কের ছায়া-ডাল
ছায়াহীন সুখ-মাখা আলোর সোহাগ, কিঙ্করী
বিশ্বাসের ছায়ায় ভিজিয়ে দিয়েছে যৌবন
বেঁধে দিই লাল ফুল খোঁপায়, হাতে রঙ চুড়ি
সূর্য ধোয়া বাড়ি থেকে ভাসে সুখি মনপবন
অন্ধকার ভয় পায়, রাত্রি খোঁজে আলো
তুমি তো আমার ছিলে, তোমাকেই বাসি ভালো
রসিক শিখা পায়চারি করে সহজ সরল ঘর
বিছানায় শুয়ে আছি, ভীষ্ম পিয়াস জুড়ে অন্তর
দুরবতী স্বপ্নগুলো ঝোলা নিয়ে করে মাধুকরী
টগবগে মেয়ে তুমি, ঠোঁটে আঁকা চন্দ্র-ময়ূরী
সম্বন্ধ সরলরেখায় চলে, বিশ্বাসের ভাঙা ডালে
একান্ত অসুখিমেঘ এসে মুগ্ধ নদীজলে ঢেউ তোলে
গৃহবন্দী
গুহাবাসী ছিল আদিম পিতা, একান্ত নির্জনে
সুখ কাকতালীয় পথে হামাগুড়ি দিতে
বনের ডালের ফাঁকে সূর্যের কিরণে
সাধগুলো হা হা করে তাকিয়ে থাকত
কখন খাদ্য আসে গুহাঘরে, জ্যান্ত অথবা মৃত
হাতগুটিয়ে বসে থেকে ভাগ্যকে দোষারোপ কেন?
মারী নিয়ে যারা প্রতিনিয়ত ঘর করে
তাদের লড়াই করেই বাঁচতে হয়,
এসো, বিজ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে দিই ঘরে ঘরে
বিজ্ঞানই বাঁচাতে পারে , সংস্কার নয়,
যেটা অনেক আগেই বুঝেছিল গুহামানব
হাত আর মস্তিষ্কের যৌথ উদ্যোগে ।
গুহাবাসী ছিল আদিম পিতা, একান্ত নির্জনে
সুখ কাকতালীয় পথে হামাগুড়ি দিতে
বনের ডালের ফাঁকে সূর্যের কিরণে
সাধগুলো হা হা করে তাকিয়ে থাকত
কখন খাদ্য আসে গুহাঘরে, জ্যান্ত অথবা মৃত
হাতগুটিয়ে বসে থেকে ভাগ্যকে দোষারোপ কেন?
মারী নিয়ে যারা প্রতিনিয়ত ঘর করে
তাদের লড়াই করেই বাঁচতে হয়,
এসো, বিজ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে দিই ঘরে ঘরে
বিজ্ঞানই বাঁচাতে পারে , সংস্কার নয়,
যেটা অনেক আগেই বুঝেছিল গুহামানব
হাত আর মস্তিষ্কের যৌথ উদ্যোগে ।
ছায়াহীন সুখ
যা কিছু সম্পর্ক ছিল হলুদ বাতাস এসে
ভিজিয়ে দিয়েছে চোখ উদ্বাস্তু আলোয়
বসন্ত ভেজা আকাশ অপেক্ষা বসে
নীরবে কাঁদে ভুবনডাঙ্গার মেঘ, সজল ওই
আগুনের সন্ত্রাস চিহ্ন আঁকা ফেরারি বুক
, রসিক শিল্পগুলো আঁকি তামাটে শরীরে
সবুজ ছায়া উড়ে, সকাল সন্ধ্যার অসুখ,
অবিশ্বাসের নোংরা জলে, উড়ন্ত দুপুরে
সূর্য-ধোয়া আলয় যেখানে ছিল এক ছায়াহীন সুখ
একদিন পূণ্যতোয়া ঘাসজলে ভরিয়ে দিয়েছে এ মুখ
No comments:
Post a Comment