মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
গোলাম রসুল
ঈশ্বরের চেয়েও একটি দয়ালু মানুষ
কে জানতো এত কঠিন হবে জীবন
মেঘের নিচে আমাদের হত্যা করা প্রাণীগুলো পুনরায় চিৎকার করবে
আর পৃথিবীর সব নদীগুলো ফিরে যাবে পর্বতের দিকে
ইউরোপ কাঁপছে
শেষ বসন্তের পাতার মতো
পাখির ঠোঁটে ধরা কফিন
যতটা আধুনিক করে নেওয়া যায়
খুব জোরে ঝড় বইছে
আর আমেরিকা চিন ওদের গর্ব করার মতো মানুষগুলো থেকে চুইয়ে আসছে জল
ভিজে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার জন্য সারছে না জ্বর সর্দি কাশি
শরীরের ভেতরে মৃত্যু ঢুকে বেরিয়ে আসছে পালকের মতো
আর অনেক বেশি বেতন দিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে কবর খোঁড়ার লোকগুলো
পৃথিবী সংক্রমিত হচ্ছে একটি ডিমের খোলে
একজন স্বেচ্ছাসেবী রাস্তা দিয়ে গান গাইতে গাইতে চলে গেলো
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ সব দোকান
দোকানের সামনে মৃত সন্তান কোলে বাবা
যেমন ভালো শিল্পীর আঁকা একটি স্থাপত্য কাজ
আকাশ মধ্যযুগের মাঠ
আর গ্রীষ্মকাল পুড়ছে
মানুষ ভুলে গেছে সব দুঃখ
ধর্ম রোগা ঘোড়ার মতো বাঁধা রয়েছে সেই মাঠে
সংরক্ষিত চাঁদ
একটা শিশু জন্ম গ্রহণ করেই প্রত্যাখ্যান করল
আমাদের ফুসফুস থেকে অক্লান্ত ঝরে পড়ছে আগুন
মৃত্যুর আতসবাজির খেলা
হিম শীতল রাত্রি
আমরা পান করছি নক্ষত্রের আলো
আমাদের প্রত্যাশা একটি ভোরবেলা
ঈশ্বরের চেয়েও একটি দয়ালু মানুষ
বদলে দিচ্ছে পৃথিবীর ধারণা
একশো বছর পর ভোরের সব আকাশ ছিলো পাখিদের
আর আকাশও ছিলো খুব আন্তরিক
মানুষের মেঘ
তোমার অসুখ ভালো হয়ে যাবে
এই মুহূর্তে আমার ব্যথার ওপর দিয়ে একটা মালগাড়ি চলে গেলো
আর আমি চিৎকার করে উঠলাম বাঁচাও বলে
এখন বন্ধুত্ব আমাদের যুদ্ধ
মানুষ দেখলে ভয় পাচ্ছে মানুষ
আমাদের হাত খুলে রেখে দিয়েছি
বেসিনে ভেতরে
জলের রহস্যের মুখে
নদীর মতো সে হাত বয়ে যাচ্ছে
সমুদ্রের দিকে
সমুদ্র যদি পুনরায় ফিরিয়ে দেয় আমাদের ভাগ্যের মতো কিছু একটা
পুনরায় ভোরের আকাশে মানুষের মুখ
সূর্য ওঠছে
বদলে দিচ্ছে পৃথিবীর ধারণা
আমাদের আশা সবচেয়ে প্রাচীনকাল
আমাদের আশা সবচেয়ে প্রাচীনকাল
আর অশরীরী গান
যে গান আমরা মনের ভেতর একসঙ্গে শুনি হাজার দশেক লোক
জানি না কিভাবে এই সব মৃত্যুকে স্মরণ করবো
বাইরের বেশ কিছু দিন
ঈশ্বরের ভগ্ন স্তূপ ঢেকে দিচ্ছে গ্রহান্তরের মেঘ
আমরা হারিয়ে ফেলেছি অনেকগুলি ধর্মের মুদ্রা
পৃথিবী বিরহের স্তম্ভ
আমরা একসঙ্গে ভালোবাসছি
খালি গায়ে জীবন
এখন সবচেয়ে প্রাচীনকাল আমাদের হাতে
নদীতীরে বেল বাজিয়ে চলে গেলো পথিক জল
পৃথিবীর উদ্দেশ্যে সূর্য হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে পুনর্বার
আকাশ এখন বেশ পরিচিত
যেখানে মজুত ছিলো পাপ
আমি দেখলাম ছায়া ক্রমশ কালো হয়ে আসছে
আর শহরের বাড়িগুলোর ওপরে তার ছড়িয়ে পড়া দেখে ভাবছিলাম
কি মারাত্মকভাবে রাত্রি নামছে
শুধু বেঁচে থাকা নয় মরার জন্য যে হাসপাতাল বানিয়েছি আমরা তার ওপর প্রচণ্ড মেঘ
আমার নিজের এক বালতি রক্তে ডুব দিয়ে আমি পৌঁছে গেলাম
সেই সব পিতামহদের কাছে যারা ভুলে গিয়েছিলো শেখাতে কিভাবে মরতে হয়
চাঁদের ভেতরে ক্ষতের মতো একটা চাঁদ
সংরক্ষিত একটি বাগান
যার পাহারাদার মারা গেছে কিছুক্ষণ আগে ছোঁয়াছে রোগে
নৌকার তলায় শুকিয়ে গেছে শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী
একফোঁটা জলও নেই শরীরে
পাথরের হাতদুটো যা সম্বল
কতটা রাস্তা আমাকে যেতে হবে একলা
সেই প্রথম থেকে একটি ছেলেবেলার গাছ যে আমার সঙ্গী
আমি দেখছিলাম পোশাক খোলা আমার ছায়া
কিভাবে অদৃশ্য হয়েছে সামনের বাড়িগুলো জানি না
যেখানে মজুত ছিলো পাপ
সূর্য উঠছে হুবহু আমারা হারিয়ে ফেলেছিলাম যে মানসিকতা
আমাদের মর্মর মূর্তির অসুখ
আমাদের মর্মর মূর্তির অসুখ
আমাদের একাকিত্ব মেঘের ফসিল
আকাশে নুনের ছিটে
রান্নাঘর থেকে মেয়েরা দেখছে তাদের গর্ভের মধ্যে শিশুরা কিভাবে বুড়ো হচ্ছে
আর পৃথিবী একটি কমলালেবুর মতো খসে পড়ে যাচ্ছে গাছ থেকে
সূর্যের কাটা চামচ জ্বলছে
যেমন জ্বলন্ত হাত
আমরা ছুঁড়ে দিচ্ছি ভাগ্যের রুটি
মানুষের সংজ্ঞা জিরাফের গলা
তাকিয়ে রয়েছে দুটি মরুভূমি
কেউ কেউ বিপ্লবের গান গাইছে
আর মিছিলের সবার আগে ছেড়ে দিয়েছে একটি ঈগল
কাল পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল সবকিছু
জানি না কিভাবে নতুন করে সংক্রামিত হলো আমাদের জামাকাপড়
আমাদের মর্মর মূর্তির অসুখ
দূর
আর কত দূর হেঁটে গেলে পৌঁছুতে পারবো আমাদের পিতা পিতামহদের মৃত্যুতে
এখন সন্ধ্যা নামছে
ফেলে আসা দিনটিকে বইয়ের পাতার মতো উল্টে রেখে দিলাম
সময় হলে পড়ে দেখবো কি লেখা হয়েছে আমাদের ভাগ্যের কথা
আকাশে এত কাটাছেঁড়া তাই রাত্রির কিছু জানি না
বিপন্ন অন্ধকারে মিষ্টি স্বাদের ওই নক্ষত্রদের চা পান করার মতো করে আমি দেখছিলাম
আর চাঁদ ডুবে গেছে তার ঢেউ
আদিম শব্দটির ধার দিয়ে ভেসে যাচ্ছিলো আমাদের পৃথিবী
আর মানুষ কত অসহায়
প্রথম থেকে শেষ অবধি গাইছে একটি দূরবর্তী গান
আমরা দাঁড়িয়ে যেখান থেকে শুরু করেছিলাম হাঁটতে
গোলাম রসুল
ঈশ্বরের চেয়েও একটি দয়ালু মানুষ
কে জানতো এত কঠিন হবে জীবন
মেঘের নিচে আমাদের হত্যা করা প্রাণীগুলো পুনরায় চিৎকার করবে
আর পৃথিবীর সব নদীগুলো ফিরে যাবে পর্বতের দিকে
ইউরোপ কাঁপছে
শেষ বসন্তের পাতার মতো
পাখির ঠোঁটে ধরা কফিন
যতটা আধুনিক করে নেওয়া যায়
খুব জোরে ঝড় বইছে
আর আমেরিকা চিন ওদের গর্ব করার মতো মানুষগুলো থেকে চুইয়ে আসছে জল
ভিজে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার জন্য সারছে না জ্বর সর্দি কাশি
শরীরের ভেতরে মৃত্যু ঢুকে বেরিয়ে আসছে পালকের মতো
আর অনেক বেশি বেতন দিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে কবর খোঁড়ার লোকগুলো
পৃথিবী সংক্রমিত হচ্ছে একটি ডিমের খোলে
একজন স্বেচ্ছাসেবী রাস্তা দিয়ে গান গাইতে গাইতে চলে গেলো
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ সব দোকান
দোকানের সামনে মৃত সন্তান কোলে বাবা
যেমন ভালো শিল্পীর আঁকা একটি স্থাপত্য কাজ
আকাশ মধ্যযুগের মাঠ
আর গ্রীষ্মকাল পুড়ছে
মানুষ ভুলে গেছে সব দুঃখ
ধর্ম রোগা ঘোড়ার মতো বাঁধা রয়েছে সেই মাঠে
সংরক্ষিত চাঁদ
একটা শিশু জন্ম গ্রহণ করেই প্রত্যাখ্যান করল
আমাদের ফুসফুস থেকে অক্লান্ত ঝরে পড়ছে আগুন
মৃত্যুর আতসবাজির খেলা
হিম শীতল রাত্রি
আমরা পান করছি নক্ষত্রের আলো
আমাদের প্রত্যাশা একটি ভোরবেলা
ঈশ্বরের চেয়েও একটি দয়ালু মানুষ
বদলে দিচ্ছে পৃথিবীর ধারণা
একশো বছর পর ভোরের সব আকাশ ছিলো পাখিদের
আর আকাশও ছিলো খুব আন্তরিক
মানুষের মেঘ
তোমার অসুখ ভালো হয়ে যাবে
এই মুহূর্তে আমার ব্যথার ওপর দিয়ে একটা মালগাড়ি চলে গেলো
আর আমি চিৎকার করে উঠলাম বাঁচাও বলে
এখন বন্ধুত্ব আমাদের যুদ্ধ
মানুষ দেখলে ভয় পাচ্ছে মানুষ
আমাদের হাত খুলে রেখে দিয়েছি
বেসিনে ভেতরে
জলের রহস্যের মুখে
নদীর মতো সে হাত বয়ে যাচ্ছে
সমুদ্রের দিকে
সমুদ্র যদি পুনরায় ফিরিয়ে দেয় আমাদের ভাগ্যের মতো কিছু একটা
পুনরায় ভোরের আকাশে মানুষের মুখ
সূর্য ওঠছে
বদলে দিচ্ছে পৃথিবীর ধারণা
আমাদের আশা সবচেয়ে প্রাচীনকাল
আমাদের আশা সবচেয়ে প্রাচীনকাল
আর অশরীরী গান
যে গান আমরা মনের ভেতর একসঙ্গে শুনি হাজার দশেক লোক
জানি না কিভাবে এই সব মৃত্যুকে স্মরণ করবো
বাইরের বেশ কিছু দিন
ঈশ্বরের ভগ্ন স্তূপ ঢেকে দিচ্ছে গ্রহান্তরের মেঘ
আমরা হারিয়ে ফেলেছি অনেকগুলি ধর্মের মুদ্রা
পৃথিবী বিরহের স্তম্ভ
আমরা একসঙ্গে ভালোবাসছি
খালি গায়ে জীবন
এখন সবচেয়ে প্রাচীনকাল আমাদের হাতে
নদীতীরে বেল বাজিয়ে চলে গেলো পথিক জল
পৃথিবীর উদ্দেশ্যে সূর্য হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে পুনর্বার
আকাশ এখন বেশ পরিচিত
যেখানে মজুত ছিলো পাপ
আমি দেখলাম ছায়া ক্রমশ কালো হয়ে আসছে
আর শহরের বাড়িগুলোর ওপরে তার ছড়িয়ে পড়া দেখে ভাবছিলাম
কি মারাত্মকভাবে রাত্রি নামছে
শুধু বেঁচে থাকা নয় মরার জন্য যে হাসপাতাল বানিয়েছি আমরা তার ওপর প্রচণ্ড মেঘ
আমার নিজের এক বালতি রক্তে ডুব দিয়ে আমি পৌঁছে গেলাম
সেই সব পিতামহদের কাছে যারা ভুলে গিয়েছিলো শেখাতে কিভাবে মরতে হয়
চাঁদের ভেতরে ক্ষতের মতো একটা চাঁদ
সংরক্ষিত একটি বাগান
যার পাহারাদার মারা গেছে কিছুক্ষণ আগে ছোঁয়াছে রোগে
নৌকার তলায় শুকিয়ে গেছে শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী
একফোঁটা জলও নেই শরীরে
পাথরের হাতদুটো যা সম্বল
কতটা রাস্তা আমাকে যেতে হবে একলা
সেই প্রথম থেকে একটি ছেলেবেলার গাছ যে আমার সঙ্গী
আমি দেখছিলাম পোশাক খোলা আমার ছায়া
কিভাবে অদৃশ্য হয়েছে সামনের বাড়িগুলো জানি না
যেখানে মজুত ছিলো পাপ
সূর্য উঠছে হুবহু আমারা হারিয়ে ফেলেছিলাম যে মানসিকতা
আমাদের মর্মর মূর্তির অসুখ
আমাদের মর্মর মূর্তির অসুখ
আমাদের একাকিত্ব মেঘের ফসিল
আকাশে নুনের ছিটে
রান্নাঘর থেকে মেয়েরা দেখছে তাদের গর্ভের মধ্যে শিশুরা কিভাবে বুড়ো হচ্ছে
আর পৃথিবী একটি কমলালেবুর মতো খসে পড়ে যাচ্ছে গাছ থেকে
সূর্যের কাটা চামচ জ্বলছে
যেমন জ্বলন্ত হাত
আমরা ছুঁড়ে দিচ্ছি ভাগ্যের রুটি
মানুষের সংজ্ঞা জিরাফের গলা
তাকিয়ে রয়েছে দুটি মরুভূমি
কেউ কেউ বিপ্লবের গান গাইছে
আর মিছিলের সবার আগে ছেড়ে দিয়েছে একটি ঈগল
কাল পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল সবকিছু
জানি না কিভাবে নতুন করে সংক্রামিত হলো আমাদের জামাকাপড়
আমাদের মর্মর মূর্তির অসুখ
দূর
আর কত দূর হেঁটে গেলে পৌঁছুতে পারবো আমাদের পিতা পিতামহদের মৃত্যুতে
এখন সন্ধ্যা নামছে
ফেলে আসা দিনটিকে বইয়ের পাতার মতো উল্টে রেখে দিলাম
সময় হলে পড়ে দেখবো কি লেখা হয়েছে আমাদের ভাগ্যের কথা
আকাশে এত কাটাছেঁড়া তাই রাত্রির কিছু জানি না
বিপন্ন অন্ধকারে মিষ্টি স্বাদের ওই নক্ষত্রদের চা পান করার মতো করে আমি দেখছিলাম
আর চাঁদ ডুবে গেছে তার ঢেউ
আদিম শব্দটির ধার দিয়ে ভেসে যাচ্ছিলো আমাদের পৃথিবী
আর মানুষ কত অসহায়
প্রথম থেকে শেষ অবধি গাইছে একটি দূরবর্তী গান
আমরা দাঁড়িয়ে যেখান থেকে শুরু করেছিলাম হাঁটতে
No comments:
Post a Comment