Thursday 9 April 2020

রবীন বসু

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ










রবীন বসু


বেহুলা অঙ্গন

শূন্যতার মধ্যে আর এক শূন্যতা
নিরালম্ব অবশেষ
গভীর তাৎপর্য নিয়ে জেগে থাকে খাদ
অনন্ত দূরত্বের অভিমুখ
সব এক জ্যামিতিক টানে সুস্থির ;
তবু যেন কোথাও ঝোলে বিবমিষা
অস্থির উচাটন আর সম্পর্করহিত
এই আমাদের প্রাত্যহিক
ত্রিকোণ পরকীয়ার স্যাঁতসেঁতে গন্ধ
নাকে ধরে প্রয়ঃপ্রণালী ;
প্রতিবাদ প্রতিরোধ চিমটি কাটে
অসাধু বালখিল্যতায় ;
পর্ণমোচী সংস্কৃতি নেচে ওঠে
তাতা থৈ থৈ 
বেহুলা-অঙ্গনে তখন পরিপাটি কনসার্ট… 

শূন্যের মাঝে

ঘোষিত দূরত্ব থেকে বন্ধুত্বের অভিমান
গড়িয়ে গড়িয়ে চলে নিঃশব্দে। এই যে 
সম্পর্কস্রোত, আনজান স্মৃতি বিষাদকে 
ছুঁয়ে দিলে শিশির ঝরে টুপটাপ;
অলিখিত ডায়েরির পাতা ছিঁড়ে
সমান্তরাল শোক হেঁটে গেলে
মৌন-মুখরতা দিক ভোলা হয় ;
অচেনা উচ্চারণ গায়ে মেখে
আলপথ উঠে আসে নিজস্ব গমনে
প্রতিটি ভ্রমণ শেষে যে অভিজ্ঞতা
তাকে তো জারিত করে নতুন ইচ্ছারা ;
আনুভূমিক তাপ ও উত্তাপ 
বিপর্যস্ত চলাচল ঘিরে ফাঁদ পাতে
অদৃশ্য লাটাই কার হাতে তা অজানা, 
তবুও সময়তাড়িত এই অপেক্ষা
শূন্যের মাঝে দোল খায় ক্রমাগত…


শ্মশান চণ্ডাল ৪

আবহমানে বিঁধে আছে কাঁটা, জাদু-বাস্তবতা
পরতে পরতে জড়িয়ে নিচ্ছে মায়া অসস্বচ্ছতা এবং
নতুন নকশিকাঁথা মাঠ
               বুননে শিল্পের ধার
                  ধৈর্য অসীম
            আগ্রহ ব্যাকুলতা আনে
       নির্মাণ তাকে ঘিরে শিশিরের জল

উৎস হতে অন্ধকার সভ্যতাকে ঠিক চিনে নেয় বরং


শ্মশান চণ্ডাল ৫

দেয়ালের এপারে আলো, অন্য পারে অন্ধকার 
নাও হতে পারে বরং অনুমান-নির্ভর সেই দেখা
একান্ত চলমানতায় ঘোরে
         পারস্পরিক সম্পর্কের টান
          অহরহ রহস্যে আবৃত হয়
          নিম্নস্বর অনুচ্চার উচ্চারণ
       তারও গভীরে কিছু থেকে যায়

মলিনতা মেপে মেপে আমাদের শুধু কিছু শেখা

No comments:

Post a Comment