Monday, 6 April 2020

তিসা মন্ডল

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ










তিসা মন্ডল


দপদপানি 
আকাশ থেকে গলে পড়া চাঁদের ক্রিমের স্রোতের সাথে মোমের আলো জমাট বাঁধে, ছবির বদনে। আয়ু বৃক্ষের কাঠে দৃশ্য, ঘন নিশীথ আর সাদা শীতকে জরিয়ে একদিন আমি বসবাস করেছিলাম। চিমনীর আগুনের উষ্ণতা দ্রুততার সাথে তার শীতলতা পুড়িয়ে ফেলে।
কিছু দিন হলো আকাশে ভবঘুরে জোনাকিরা
শিশিরের রস চুষে চুপ করে থাকে। দিস্তা দিস্তা মেঘ মনে বিছিয়ে থাকি আমি। তুমি যেন জীবন্ত যামিনী হয়ে ওঠো,   যেই না নির্জন দপ্তরে বিষাদের কোলাহল এসে পৌঁছায় । মাটি নিজেকে সরিয়ে নেয় আবহাওয়ার জন্য। আমার পা ফেলা’র আগে।
রুমালের আঁচল জলকে সামলেও নেয় তোমার জন্য।  মোম নিজেকে খোরাক বানাতে চায় ব্যস্ত বুকের প্রতিটি দপদপানির জন্য।


 একটি হাত 

ভালোবাসা বলতে যা ভালোবেসেছি
শুধু একটি হাত ধরে ছুটির দিনের দ্বিপ্রহর জুড়ে এক ডালাসমেত বায়না আবদার,
হাতের মুঠোটায় গুপ্ত করা স্নেহের অসীমতা।
অন্তিম পর্বে, কোনোসময় পাঠ কাটির আগা আঁকড়ে আগুন ঝুলে পড়ে
জলকে চোখ রাঙা'য়।
একটি হাতের পাঁচটি  আঙুল সময়ের ফাঁকে খোলসটা ছেড়ে যায়
চারাটি হাতের পিছনে পাঁচটি হাতের মুখে বোল ফুটে ওঠে।
পিছনে যেতে থাকে অদৃশ্য হাতের সিরিজেরা,
মুখবন্ধ হাতের আগুন জন্মগত বিপ্লব সফলতা অর্জন করে।

 ছন্দ পতন 

একা থাকা রাত্রি গুলোর সাথে এখন যোগাযোগ নেই
কাফনের জলবায়ু বায়ুহীন এ নেশার ছোঁয়ায়
তোমার গতিপথ,
আমার অন্তিমকালের সাথে মিলে যাবে
পিছিয়ে চলা অশান্তি কখন একদম শান্ত হবে
তুমি স্পষ্ট স্পর্শ করতে পারবে না।
ঘাসের ঠোঁটে খসে পড়া ঝুমকো
চুমে যাওয়া তীব্র দুপুরেও, 
কলমের বাহিনীরা দাঁড়ির অবস্থান না দেখেই চলে একগুচ্ছ রোদ্দুরের রোগে
প্রেমিকা নুপুর সৈনিক ছন্দ পতনের ভোগে।


সুখের অসুখ 

ঠোঁটের ডগায় আমিষ স্বাদ,
এঁটো রাত্রির গন্ধ অনেকটা গাঢ় প্রকৃতির দাগ।
অবুঝ নীল অনুভূতি গ্রাস করে চলে এখানে
এতটাই, যে কোনো সম্পূর্ণ অবৈধ সুখ টুকুন কেই
জীবনের পাওনা হবে হিসেবে ধরে নেওয়া চলে।
আর বৈধ মৃত্যুকে অসুখের কানাকড়ি কাছে ঠেকিয়ে রাখা হয় ।

মৃত্যুর পূর্ণতার কাছে সব কিছুর পতন ঘটে যখন সব মায়া গনগনে উত্তাপে উন্মুক্ত হয় -
কিছু নিজস্ব বৃষ্টি নিজেরই বহিরঙ্গ ভিজিয়ে ফেলে।
খানিকটা সময় জমাট বেঁধে থাকে,
ভীড় করে বুকের ফাঁপা অন্তরা।
চলে যাওয়া স্মৃতি গুলোও পিছু টেনে বলে,
জীবন চিহ্নত হয় কোন সুখের অসুখে?

No comments:

Post a Comment