মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
জুলিয়েট-অনসূয়া চন্দ্র (ক্যালিফোর্নিয়া)
অনুগল্প
অতিথি
মনে করতে চেষ্টা করল ধৃতি,এর আগে ঠিক কখনও এরকম কিছু ঘটেছে কিনা! যতদূর মনে পড়ল ক্লাস এইটে পড়তে একবার কানের ভেতর ছাড়পোকা ঢুকেছিল সে কী ফড়ফড়ানি!একটা গোটা রাত সে ঘুমাতে পারেনি।বেশ কয়েকবার মশাও মুখের মধ্যে ঢুকে গেছে;পেটেও চলে গেছে তবে তাতে শারীরিক অস্বস্তি ছিলনা।চোখের মধ্যে কুচি পোকা ঢোকার অভিজ্ঞতাও কম হয়নি!চোখে হাত না দিয়ে জলের ঝাপটার জোরে তাকে বার করে আনার মধ্যে ছিল প্রবল যুদ্ধজয়ের সন্তুষ্টি।পাহাড়ে একবার পা থেকে রক্ত দেখে ভয় পেয়ে গেছিল ধৃতি,শুনেছিল জোঁকের কথা।তবে তার চিহ্ন দেখা যায়নি।
সবক্ষেত্রেই কোনো না কোনো প্রাণী তার শরীরের কোনো না কোনো অংশে হামলা করেছে। এবারেও তাই।তবু এই প্রাণের অস্তিত্বটা কিছুটা ভিন্নধর্মী।এর মধ্যে একটা আমার আমার ব্যাপার আছে।প্রবল অস্বস্তির মধ্যে একটা সুখী সুখী বোধ আছে। পাজল্ সলভ্ করার মত কোনটা হাত,কোনটা পা ,কোনটা মাথা,কোনটা পিঠ বোঝার অক্লান্ত চেষ্টা আছে।
প্রবল নড়াচড়া পেটে;দিন রাত জুড়ে কখনও উঁচু কখনও নীচু ঢেউ খেলছে,কখনও আবার খুব শক্ত হয়ে জাঁকিয়ে কোনো বিপ্লব বিপ্লব!!হাত বোলাতে বোলাতে গুটি কে প্রজাপতি রূপে চোখের সামনে দেখছে সে। বাইরে বেরোলে ,কেমন হবে,কোথায় শোয়াবে, কোন্ অ্যঙ্গেলে রেখে ওকে খাওয়াবে,কাঁদলে কী করবে,শুরুতেই কী হাসবে ,প্রথম সেলফি কবে ফেসবুকে পোস্ট করবে,এই ভেবেই দিন কেটে যাচ্ছে ধৃতির।৮মাসের ফড়ফড়ানি ক্রমাগত চলছে পেটের ভেতরে। আর মনের অন্দরে?ঘোর লাগা এক বিস্ময়।একটা গোটা প্রাণ এভাবেই বাড়ে একটু একটু করে!!রক্ত-জলের কত গভীরে।
জুলিয়েট-অনসূয়া চন্দ্র (ক্যালিফোর্নিয়া)
অনুগল্প
অতিথি
মনে করতে চেষ্টা করল ধৃতি,এর আগে ঠিক কখনও এরকম কিছু ঘটেছে কিনা! যতদূর মনে পড়ল ক্লাস এইটে পড়তে একবার কানের ভেতর ছাড়পোকা ঢুকেছিল সে কী ফড়ফড়ানি!একটা গোটা রাত সে ঘুমাতে পারেনি।বেশ কয়েকবার মশাও মুখের মধ্যে ঢুকে গেছে;পেটেও চলে গেছে তবে তাতে শারীরিক অস্বস্তি ছিলনা।চোখের মধ্যে কুচি পোকা ঢোকার অভিজ্ঞতাও কম হয়নি!চোখে হাত না দিয়ে জলের ঝাপটার জোরে তাকে বার করে আনার মধ্যে ছিল প্রবল যুদ্ধজয়ের সন্তুষ্টি।পাহাড়ে একবার পা থেকে রক্ত দেখে ভয় পেয়ে গেছিল ধৃতি,শুনেছিল জোঁকের কথা।তবে তার চিহ্ন দেখা যায়নি।
সবক্ষেত্রেই কোনো না কোনো প্রাণী তার শরীরের কোনো না কোনো অংশে হামলা করেছে। এবারেও তাই।তবু এই প্রাণের অস্তিত্বটা কিছুটা ভিন্নধর্মী।এর মধ্যে একটা আমার আমার ব্যাপার আছে।প্রবল অস্বস্তির মধ্যে একটা সুখী সুখী বোধ আছে। পাজল্ সলভ্ করার মত কোনটা হাত,কোনটা পা ,কোনটা মাথা,কোনটা পিঠ বোঝার অক্লান্ত চেষ্টা আছে।
প্রবল নড়াচড়া পেটে;দিন রাত জুড়ে কখনও উঁচু কখনও নীচু ঢেউ খেলছে,কখনও আবার খুব শক্ত হয়ে জাঁকিয়ে কোনো বিপ্লব বিপ্লব!!হাত বোলাতে বোলাতে গুটি কে প্রজাপতি রূপে চোখের সামনে দেখছে সে। বাইরে বেরোলে ,কেমন হবে,কোথায় শোয়াবে, কোন্ অ্যঙ্গেলে রেখে ওকে খাওয়াবে,কাঁদলে কী করবে,শুরুতেই কী হাসবে ,প্রথম সেলফি কবে ফেসবুকে পোস্ট করবে,এই ভেবেই দিন কেটে যাচ্ছে ধৃতির।৮মাসের ফড়ফড়ানি ক্রমাগত চলছে পেটের ভেতরে। আর মনের অন্দরে?ঘোর লাগা এক বিস্ময়।একটা গোটা প্রাণ এভাবেই বাড়ে একটু একটু করে!!রক্ত-জলের কত গভীরে।
No comments:
Post a Comment