Friday, 26 June 2020

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা ২৬।০৬।২০২০

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ 
আসুন সকলে ভালো থাকি। সুস্থ থাকি। সুস্থ রাখি। বদ্ধ অঙ্গিকার করি...
                                হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
পাখি রঙের আকাশ  ------ ৯৩

আর তুমি। একটা আস্ত পৃথিবী। নিজের মতো রঙ চাপিয়েছি। একটু একটু করে লিখে ফেলেছি আমার রোদের ইতিহাস। বুঝতে পেরেছি ওটাই আমার দ্বীপ। অন্য রঙও ছিল। তারাও তাদের মতো করে পৃথিবী এঁকেছিল। নদী এঁকেছিল। এঁকেছিল বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি আমার দেশকেও আর্দ্র করেছে, সবুজ করেছে মাটি। কিন্তু তবুও কে যেন আমাকে পড়িয়েছে ভিন্ন মাটির সংজ্ঞা। একবারের জন্যেও মনে হয় নি আমার দরজার নদীও অবসরে রাঙামাটি গায়। পায়ে পায়ে মাটি জড়িয়েও জানলা খুলতে হাত কেঁপেছে। কোন সকালে ডেকে দিয়েছে মা। কিন্তু এখনও সূর্য মাথায় ঘুম জড়ানো চোখ। তাই চারপাশে রঙ নিয়েও দাঁড়াবার জায়গায় কোনো আকাশ নেই।

                                  বিমল মণ্ডল 

ছলচাতুরী


১.

অকথিত বন্দি স্বরলিপি
উপাসনা চুপিসারে অন্দরমহলে
কয়েকটি ছিপ বড়শিগাঁথা
সময়ের অন্তর অন্তর ভাজা  হয় 

অচেনা বার্তার অলৌকিক উচ্ছ্বাস
স্বরলিপির  উজান জোয়ার 
ছলচাতুরীর অকৃপণ। 

২.
একটু ভেবে দেখো 
খুঁজে পাবে অতীতকে
কি ভাবে মেকিত্ব জালে 
জড়িয়ে ফেলেছো 
তোমারই প্রিয়জনে 

দুই দিকে দুই স্তর 
করেছে আঁধার পবিত্রালয়ে। 

৩.
ন্যুনতম ব্যবহার আশাতীত
জীবনের কল ঘুরবে সবমিলে
তোমার প্রাণের প্রিয়টিকে
কোথাও পাবে না  খুঁজে জেনে

তোমার দূরে পড়ে থাকা
কয়েকটি মাথা নামানো মানুষ
বিকল্পিত দাবার ছকে
নামহীন আরাধনায় মত্ত। 

৪.

চক্রাকারে ঘোরে সময় লাটিম
তুমি -তারা - সে চেয়ে আছো নীলজোছনায়
প্রতিটি চোখ রাঘব- বোয়াল
দুন্দুভি'র শব্দ

প্রতিবাদ ছুঁড়ে ফেলে লক্ষ্য লক্ষ স্বপ্ন
বিতর্কের  প্রক্রিয়া তারে
বিষণ্ণ হলুদ দাঁত 
লজ্জা পায়।      

৫.

সম্মানইতিহাস চয়ন করো
দেখতে পাবে তোমার সম্মানকথা  

দু'একটা বৃত্তের ভেতর
কখনো অন্ধকার টানো না
যা বর্তমানে পরিস্থিতির ঘাতক স্বীকার

টেবিলের চৌহদ্দি ছেড়ে 
গোলটেবিলের মোহড়ায় হয়তো ক্ষমতা পাওয়া যায় 
কখনো উজ্জ্বল সম্মান পাওয়া যায় না।    
হামিদুল ইসলাম

ভাত 

ছুটির ঘণ্টা বাজে 
ঘড়ির কাঁটায় 
দুবেলা সাদা ভাতের স্বাদ 
রুটির পূর্ণিমা চাঁদ মেঘে ঢাকে বিশ্বাস 
কতোযুগ বন্ধ পৃথিবীর কারখানা  ।।

শ্রমিকের হাতে হাতুড়ির বাঁট 
রক্তে ভেজে বুক 
ছুটির ঘণ্টা ভাঙে ঈশ্বরের প্রাসাদ 
তবু ঘুরে দাঁড়াই 
সুদূর দিগন্তে সাদা ভাত   ।।

ধীবর বৃত্তান্ত 

জলকে চালান দিই 
সমুদ্র শিরায় 
কূলে কূলে মুখরিত পাখিদের কূজন 
ঊষার সাম্রাজ‍্যে সূর্য উদয়  ।।

ঊষসীর উরু বিবস্ত্র এখন 
ঘোলাজলে মাছেদের আনাগোনা 
মৃত‍্যু শকটে ভালোবাসা 
পৃথিবী নির্দয়   ।।

এখন ধীবরের বাস পৃথিবীর প্রতিটি রক্ত কণায়   ।

ওপারের আকাশ 

রাত্রি তুমি এসো 
আমাকে নিয়ে যাও ওপারের আকাশ 
এ আকাশ বড়ো জ্বালায় 
কালবৈশাখী ভাঙে 
চিলেকোঠা   ।।

আর কতোদিন অপেক্ষা 
মৃত‍্যু তোমাকে ডাকছি কতোদিন 
এসো, আমি যাবো ওপারের আকাশ 
যেখানে থাকবে না কেউ 
আমি পুড়ে পুড়ে হয়ে যাবো অঙ্গার   ।।

কাল বৈশাখী 

কালবৈশাখী আসছে 
ঝড়ে ভাঙছে 
প্রাণ 
আরণ‍্যক জীবন 
ছ'ঘণ্টার কথাবার্তা শেষ   ।।

বাড়ির নীচে আঁধার 
কচ্ছুবিষ 
রণসাজে রাবণ 
দ্বারে দ্বারে কাড়া নাকাড়া
কালবৈশাখী থেমে গেছে হাজার বছর ।

ইতিহাস

কবিতার জীবন ভাঙি 
নৈঃশব্দ সারাক্ষণ 
পাতায় পাতায় ছন্দের রক্তপাত 
জলে ভাসে লাশ 
ইতিহাস 

মৌল শক্তিতে বিশ্বাস রাখি বরাবর    ।







No comments:

Post a Comment