মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
আসুন সকলে ভালো থাকি। সুস্থ থাকি। সুস্থ রাখি। বদ্ধ অঙ্গিকার করি...
আসুন সকলে ভালো থাকি। সুস্থ থাকি। সুস্থ রাখি। বদ্ধ অঙ্গিকার করি...
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
পাখি রঙের আকাশ ------ ৭৮
মাঝখান দিয়ে একটা রাস্তা সোজা চলে গেছে। একটা লোক রবিবারের ছুটিতে সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত ওপরে উঠে গেল। কে ঠিক বোঝা গেল না। তবে খুব চেনা। অবশ্য চিনতে পারলেও খুব একটা লাভ নেই। নতুন কিছু দেখা যেত না। সকাল থেকে রাতের মুখগুলোর মধ্যে যেকোনো একটা। কে যেন ছুটতে ছুটতে এসে বলল ঝড় আসছে। এবার কারও রক্ষে নেই। রাস্তার ঝড় কাউকে রেহাই দেবে না। রাস্তার চলে যাওয়ার দিকে যারা তাকিয়ে ছিল এবং মনে মনে ভরসা পেয়েছিল তারা বলল রাস্তাই তো আস্ত একটা ঝড়।
কেয়া চক্রবর্তী
হারানো অতীত
হারিয়ে গেছে আয়নাটুকু
শুধুই পড়ে ফ্রেমটা ।
মন খুইয়ে চলছে তবু
লোক দেখানো প্রেমটা ।
অচেনার ভিড়ে হারিয়ে
খুঁজি মনের চোরকুঠুরিটা,
আজ যেখানে দাফন
করেছি হাসিখুশি অতীতটা।।
একলা বসে ভাবি আমি,
যখন হুহু করে পরানটা।
মানুষের মন বোঝা বড়ই দায়
যখন খুলে যায় মুখোশটা।।
আজ ও তবু যতনে রাখি,
ঢেকে রাখি ক্ষতটা,
মাঝে মাঝেই খুঁজে ফিরি,
হারিয়ে যাওয়া সেই স্বপ্নটা।।
মাতৃভাষা অমৃত সমান
অবোধ শিশু যেই ভাষায়
কলকল করে কথা কয়,
জগৎবাসীর কাছেই তা
মাতৃভাষা হিসেবে পরিচিতি পায়।।
ভিন্ন ভিন্ন ভাষা, তবু
মায়ের ভাষায় কথা বলে পাই যেমন সুখ,
সব জাতির সব মানুষেরই
গর্বে ভরিয়ে দেয় বুক।।
বাংলা আমার মাতৃভাষা
সেই ভাষায় বলি কথা, সেইভাষাতেই লেখা,
আবার সেই ভাষার জন্যই
শহীদ হতেও গেছে দেখা।।
দেশ,জাতি, বর্ণ, ধর্ম ভুলে
কত শহীদের গেছে প্রাণ,
ভাষার সম্মানেই কত বাঙালীর
প্রাণ গেছে বলিদান।।
যার ভাষা তার কাছে অতিশয় প্রিয়,
খেয়াল থাকে সেই ভাষাকে করি না যেন কভু হেয়।
সব ভাষাই হোক আমাদের কাছে সমান আদরণীয়,
মাতৃভাষা সকল জাতির কাছেই হোক সম্মানীয়।।
অন্যের ভাষাকে ছোটো করি যদি তবে,
ভাষার জন্য বলিদান বৃথা হয়ে যাবে।।
একদা শহীদের রক্তে সিক্ত ছিল যে রাজপথ,
তাদের বলিদান যায় না যেন বৃথা আজ নি এমনই শপথ।।
বাংলাভাষা মোদের গর্বের ভাষা,
এই ভাষায় করি মোরা জয়গান,
এ যে মোদের আনন্দের ই ভাষা,
মাতৃভাষা সবার কাছেই অমৃত সমান।।
বিশ্বকন্যাশিশু দিবসের অঙ্গীকার
কন্যাশিশু হলেই যারা তেলেবেগুনে জ্বলে,
ভুলে গেছে তারা বুঝি জন্ম নিয়েছে কার কোলে?
কোন পুরুষের গর্ভে বুঝি জন্ম তুমি নিলে,
তুমিও যে জন্ম নিয়েছো কোনো নারীরই কোলে।।
আজকে যে তুমি হয়েছো মানুষ সেই অবদান কার ?
যেই নারীর গর্ভে জন্ম নিলে,আজ করছো অবমাননা তার।।
কোন শিশুটি পুরুষ হবে,কোন শিশুটি নারী,
সৃষ্টিকর্তাই ঠিক করে দেন ঠিক করেন না কোনো নারী।।
কন্যা শিশু জন্ম নিলে দায়টা কেন নারীর ঘাড়ে দাও
তুমিও তো জন্মেছো কোনো নারীরই কোলে
তা বুঝি ভুলে যাও।।
কন্যা ভ্রুণ হত্যা করে বলো কি পাবে?
বোন, স্ত্রী, মা বলে তখন পাশে কেউ কি পড়ে রবে?
এখন থেকে না হই যদি সবাই সাবধান,
আশু বিপদ আসছেই তবে তাই দাও নারীদের যোগ্য সম্মান।
বিশ্বশিশুকন্যাদিবসে করি এই অঙ্গীকার,
বাঁচুক কন্যাশিশু, সুরক্ষিত করি তাদের অধিকার।।
ইচ্ছে
যদি ভাবো থাকবে তবেই এসো,
হোক না একটু দেরী,
আসাটা বড় কথা নয়,
থাকাটাই ভীষণ জরুরী।।
যদি কোনো এক শীতের রাতে গরম চায়ের সাথে
তোর হাতের ওপর রেখে হাত ,
কথা দিলাম আঁকড়ে ধরে সেই হাত,
আমি লিখব কবিতা সারারাত।।
চাইলেই মনের মত মন কি সবাই পায়,
জীবনের অনেককিছুই শূন্য রয়ে যায়।
চাইলেও একজীবনে সব চাওয়া হয় না তো পূরণ,
তবুও জানিনা কেন স্বপ্ন দেখে এই পোড়ামন।।
মনকে বোঝাই ভালোই আছিস,
একদিন ঠিকই হবে দেখা,
সেদিন সব প্রশ্নের উত্তর দেব,
জবাব দেওয়াটাও যে তোর থেকেই শেখা।
বিনি সুতোয় বাঁধা
আমি কেয়া,
আজ নিয়ে এসেছি কবিতার খেয়া,
আমার এই আসরে রইলো সবার নিমন্ত্রণ,
কবিতা পড়ে মন ভালো করো কিছুক্ষণ।।
আসর সাজিয়ে আমি বসে আছি আজি
নিয়ে এলাম তোমাদের জন্য কবিতার সাজি।
সাজি ভরে এনেছি কবিতার ডালি,
সুখ, দুঃখ, আনন্দ, ও বেদনার নানা স্বাদের পাঁচমিশালী।।
মন তো সবারই থাকে,কজনই বা তার খবর রাখে,
ভালোবেসে আপন করো যাকে,সেকি কখনো ভুলতে পারে তোমাকে।।
মুখ আর মুখোশের ভিড়ে,জগৎ এখন ক্লান্ত হায়,
কে যে তার কত আপন ,এর জবাব দেবে কেবলই সময়।।
সংগোপনেই বেড়ে ওঠে মনের
গোপন এক আর্তি,
বিনি সুতোয় বাঁধা পড়ে দুটি
মন হয় যখন প্রেম প্রিয়ার্থী।।
তোমার আমার মেলে না কিছু,
তবুও আবেগটা ছাড়ে না পিছু
টিকে আছি মনের টানে,
কি টান তা মন ই জানে।।
মুখোশের ভিড়ে সত্য খুঁজি,
চারিদিকে মিথ্যের মিছিল,
ঋতুও বদলে ফিরে ফিরে আসে,
মানুষ ভীষণ পরিবর্তনশীল।।
No comments:
Post a Comment