Tuesday, 30 June 2020

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || ৩০শে জুন ||

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা | | ২-য় বর্ষ ||  













হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
পাখি রঙের আকাশ  ------  ৯৪

প্রতিটা চুম্বনের ভেতর আমি এক একটা সূর্যকে দেখতে পাই। সেই সূর্য মুখে ভেসে ওঠে কত কত হারিয়ে যাওয়া মুখ। কোনো রথের মেলায়, হাসপাতালে চিন্তিত মুখে, গাছের নিচে বৃষ্টি মাথায়, ট্রেনের জানলায় আর স্টেশনে হাঁটতে হাঁটতে যারা হঠাৎই চোখের আড়াল হয়ে যায় তারা আবার সূর্য মুখে ভেসে ওঠে। প্রতিটা চুম্বন এক একটা পথ। বহুদিন গলির মধ্যে আটকে থাকা চোখে হঠাৎ করেই আলোর রেখা। কে যেন এসে হাতে টান দেয়। বড় রাস্তায় এসে দেখা হয় এক নদীর সঙ্গে। রাত পেরিয়ে আলোকলতার মতো ঠোঁটের পর্দায় ভেসে ওঠে রাঙাদিন। নদীপথে ভেসে আসে বহুদিন ধরে আটকে থাকা যাবতীয় জটিল সমীকরণের অনায়াস সমাধান। একবার নদীকে দেখি আর একবার আমাকে। বুঝতে পারি, গলির মধ্যে আটকে থাকাটা ব্যক্তিগত।

                                                                                                    










প্রসেনজিৎ   আচার্য
মকিমপুরী ডেক্সে বসন্তস্রাবী ব্যালটে নিরঙ্কুশ অভিযান


কুশী
                               

(   প্র   )

টেবিল ল্যাপ্মের নিচে রাত্রি রুমালের মতো ছোটো 
বিস্ফারিত চোখে কাগুজে সময় স্রোতে ধূসর 

ফ্যাকাসে আঙুল নরম ইনস্টুমেন্টে জ্যোতিষ্ক ধরে 
গলি পথে মিলিয়ে গেছে ব্রাহ্মণ-সংহিতা 

লুব্ধকের পাশে বসে আছে সোনাজল আবগারি দপ্তর
পেণ্ডুলামে ঝুলছে নক্ষত্রের বীজ ধূসর-নিষেক
                        
(  স্ + এ+ন  )

            রাত্রি বারোটা বেজে তেইশ মিনিট 

কালপুরুষ নেমে এসেছে শরীরে আমার নীল অত্যাচার
ফুটন্ত  নরক ছুঁয়ে দেখছে দশদিকে অবাধ প্রবেশ

অঙ্ক মিলে যাচ্ছে লাল সমুদ্রের জারিত দ্রাক্ষা রসে 
এক একটা দ্রাঘিমা ফুটে উঠছে নখের অগ্রভাগে

(  জিৎ  )

হিম হয়ে দেখছি অকাতর উৎসব মীনাক্ষি অপলক
স্বাতী তারা হাত ধরে আছে গভীর অনুরাগে 

                       
লব
                         
(  অ  )

ইস্তেহার সেদিনই লেখা হয়েছিলো অন্তিম পর্যায়ে
নাচের উলম্ব আর আনুভুমিক নিডিলপয়েণ্টে
                  কৈশোর সমাগত

বাতাস কথা বলছিল সারিবদ্ধ করতালিতে
সেখানে তুমিও মিশেছিলে মণ্চের মনোবিকলনে

এক টেবিল দূরত্বে আমি স্থির নিবেশিত পাঠে 
অথচ স্পষ্ট আলো জ্বলছিলো হৃদয়ে 
টেবিলল্যাম্প শুধু ভাবছ কেন 


( ন্ +অ + ত্ +অ )        

রুমালের রাত্রিতে এরোডাইনামিক ভাবে প্রবেশ করেছ
জ্যোতিষ্কের দহনে নির্জন পাটিগণিতের গভীর হস্তাক্ষর

পেণ্ডুলামে লেগে থাকল মুহূর্তের সংস্কার আর দ্বন্দ্ব
পুরাঘটিত ঘটনার প্রিণ্টআউট নিষ্প্রয়োজন 
                           দুটি স্ফূলিঙ্গ আর জ্বলে কতক্ষণ

বসন্ত লাল আগুন বাঁচিয়ে রাখে যেখানে সংক্রমণ 
                      অতি তীব্র ভাবে ছড়িয়ে পড়ে


( রা )

সম্মানিত সংজ্ঞায় হিম স্বাদু ভাবে মেতে ওঠে মহুয়ার 
            উৎসবে — ' চাঁদ ঘিরে তারার উদয়
                                  তারা উদয় হয়েছে '
চাঁদের অঙ্গে স্বাতীর অনঙ্গ বিলাস নিরঙ্কুশ অভিযান





Saturday, 27 June 2020

জুলিয়েট-দেবযানী বসু

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
জুলিয়েট-দেবযানী বসু 
পারে না বহিতে গুরুজনভার















রংঝাল খাচ্ছে গালের চামড়া
গালাগালি দিয়ে তৈরি ডুগডুগির চামড়া
মৃত্যু চেয়ে বাঁচছে ঘরোয়া আইভরি ও ইবোনি মাতৃকাবর্ণেরা
টাকা না থাকা হাতের তালু নানারকম কচলাকচলিতে
বাজছে পিয়ানোর ষড়যন্ত্র ও স্বরযন্ত্র
পুকুর খুঁড়ে খুঁজলেও দলিল বার হবে না
ডালকুত্তা দিয়ে কংকালের মজ্জা খোঁজানো হল
বস্তার ঘড়ঘড়ে আওয়াজে কান পাতা দায়
মাশরুম তৈরির বস্তারা গলায় বাসা বেঁধেছে
এসব শ্বাসকষ্টের কাছে করোনা এঁটে উঠবে না।

জুলিয়েট- মন্দিরা ঘোষ

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
জুলিয়েট- মন্দিরা ঘোষ 
অপেক্ষা দাঁড়িয়ে  থাকে











কিউপিড রাতের একাকার  নিয়ে জ্বলজ্বলে সবুজ টিপ 
                        রাতের লিপস্টিকে ফিকে প্রস্তাব

ঘুমের স্ট্রিপবোর্ড শার্টের একতারায় তূরীয় হয়ে উঠলে
           শহরের  গ্লাসে চলকে ওঠে বেঠোফেনের মদ

কলমের পাশে খালি গ্লাসের হয়রানি
              সাইকো নখের ঘরে মোমবাতিগান

দেখতে দেখতে মেঘের তানপুরায়
একটা  হলুদ পালক বার বার দৃশ্য হয়ে ওঠে

একটি করবী সকাল দাঁড়িয়ে থাকে
                              পুলওভারের চৌকাঠে

জুলিয়েট-রিতা মিত্র

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
জুলিয়েট-রিতা মিত্র
পোশাক
















পোশাক খুলে শুয়ে আছে মাঠ, 
আকাশে কোনো বালি হাঁসের দেখা নেই, 
কাহিনিতে পড়েছি, দূর্ভেদ্ধ জঙ্গল ছিল এক কালে। 
এখন সারা বছরে ছিটেফোঁটা বৃষ্টির স্বাদ  পায়না মাটি। 
ধুলোর ঘূর্ণিঝড় উঠলে ওড়ে খরকুটো, উড়ে যায় কুড়েঘরের চাল। 
মাটি যেন তপ্ত উনুন, 
চরাচরে রাত নামলেও এখানে কোনো ডোরাকাটার ভয় নেই। 
মাঝে মাঝে ঘুমের মধ্যে জেগে উঠি, 
দেখি   সারি-সারি বৃক্ষেরা হাতে তরবারি নিয়ে তেড়ে আসছে আমাদের দিকে। 

জুলিয়েট-চন্দ্রদীপা সেনশর্মা

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
জুলিয়েট-চন্দ্রদীপা সেনশর্মা
প্রথম আষাঢ়












বালিঘড়ি রাখা আছে
সময় ঝুরঝুরিয়ে পড়ছে তো পড়ছেই
বিরামহীন। ফলের ট্রলি নিয়ে হাঁক পেড়ে যায়
চৌমাথার মোড়। ব্যস্ততা সরিয়ে
অবসন্ন সকাল, বারান্দার গায়ে রোদ যদিও তীব্র!

চায়ের কাপ টেনে নেয় আলসে ঘুম-ভাঙা চোখ,
জুনের উত্তাপ মনে করিয়ে দেয় বাবার জন্মদিন
এই টইটুম্বুর আষাঢ়ে...

জুলিয়েট-শীলা বিশ্বাস

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
জুলিয়েট-শীলা বিশ্বাস
সিপিয়া জুলিয়েট দিন










ফড়িঙের ডানা ধরা অলিভ রঙের ফ্রক বিকেল সোনা কাঠি রুপো কাঠি বৃষ্টিমাখা ধূলোবেলা ঝাঁঝরি ঝিলের এপার ওপার লম্বা সাঁতার সন্ধের মুখে ঝাঁকে ঝাঁকে মশাদের শোনানো চু কিত কিত গান। বয়ঃসন্ধির ফিসফিসানি কথা , হালকা ভালোলাগা কাউকেক্রাশ’ অচেনা শব্দ তখন মফস্ সলচিত্রহাররঙ্গীন বর্ণমালা সদ্য ডিম ফুটে বেরনো মুরগির ছানা। ল্প গজিয়ে ওঠা ছাগলছানার শিং আটের দশক, আহা লোডশেডিঙের বহর  পড়াছুটির সন্ধেআনস্মার্ট রোগা পাতলা মেয়েটার কোনো রোমিও ছিল না তবুও সিপিয়া জুলিয়েট দিন ছিল কল্পনার রোমিওর সাথে ছিল উড়াল ডানায় সলমা জরির কারুকাজ। আ্যলিসের ওয়ান্ডার ল্যান্ডে ঘুরে আবার ছুঁয়ে থাকা মায়ের আটপৌরে আঁচল।

জুলিয়েট-হিয়া

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
জুলিয়েট-হিয়া
ডার্ক সার্কেল















ও ঘুম,গৃহস্থালি
বারবার ভেঙ্গে ভেঙ্গে যায়।
মোহরছড়ানো শ্রাবণে 
ও ঘুম,ঘুমে দেহ পুড়ে পুড়ে যায়।
যায় যাক,এ দেহ ছাই হয়ে 
জেগে থাক শেষ-মারমেড।

শরীরজোড়া মায়ায় 
মৃত্যু নিয়ে মিথ্যে কিছু নেই;
দশখানা ফুল জানেই -মুকুল মুকুল।

অল্প জ্বরের কিশোরীর চোখের তলায়
' কাল '
ডার্ক সার্কেল ওর ভালো নাম।
বধ্যভূমির বুকের ওপর রাত্রি তুমি তার,
পয়ারভোলা বিকেলে সব ছল অসার।
মরতে যে চায়না তার শাসনে বাঁচে জীবন।
মরতে যে চায়না তার শাসনেই বাঁচে জীবন।

জুলিয়েট-অরণ্যা সরকার

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
জুলিয়েট-অরণ্যা সরকার
প্রকল্পের আগে














কি বানাও রোজ ?
প্রতিটি চৌকোয় ধকধক করছে সাদা
একফালি অসুন্দর চাখতে গিয়ে
মেহনতী সংগীত হয়ে গেল রাগিনী চর্চা
রাত ঝেড়ে ঝেড়ে স্বরবর্ণ কুড়িয়ে নিল একার আঙুল
ওই দ্যাখরঙ উপড়ে নিচ্ছে ড্রয়িং খাতার বাগান  
সহমত ফিরিয়ে নিল সম্পর্ক জ্যামিতি
কি বানাবে স্লিপিং পিলের বৃত্ত ?
সাদার খিদেটুকু চটকেই বরং তৈরি হোক
পিঠ ও দেয়ালের জমজমাট বিচ্ছেদশিল্প  

জুলিয়েট-নবনীতা সরকার

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
জুলিয়েট-নবনীতা সরকার
প্রসব এখনো















এখনো সম্পূর্ণ হয়নি অক্ষরের সহবাস
এখনো গভীর হয়নি সব ক্ষত,
এখনো ঘন নীল হয়নি সংকেত।
এখনো কনকনে শীত, সিঁদ কাটেনি নিষিদ্ধ ধমনীর।

বেশ্যারা সব পুজো শেষে খুলে রাখছে ব্লাউজের হুঁক..

এখনো বার্ধক্য আসেনি জানালার শিঁকে।

পতিত হতে হতে সব কবিতাই প্রসবঘরে
এখনো হাঁটুমুড়েই
শুয়ে আছে...

জুলিয়েট-রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
জুলিয়েট-রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় 
চোরা নদী 













তোমার আসা যাওয়ায় পথে উপোসী দুটো চোখ পরিখা এঁকে দেয় ৷ তুমি বাতাসের মত অশরীরী হয়ে পাড় হয়ে যায় পরিখা , লোকালয় , বনপথ , ঝরনা ৷ একাকী নৈঃশব্দ্যের দেওয়ালে দিবসেরা আসে যায় ৷ গোপনে বেড়ে ওঠা শ্রাবণের আবদার ভেসে যায় স্রোতের অনন্ত গভীরে ৷ তুমি নিশ্চেতন , আমার যন্ত্রণাগুলো কখন এক একটা চোরা নদী হয়ে গেছে , খোঁজ রাখনি তার ! তোমার চলার পথের বাঁকে কখনও যদি তার খোঁজ পাও একটা বালির তাজমহল বানিও অন্তত তার বুকে ৷  জানি তো নতুন ঢেউ এসে ভেঙে দেবে , দূরত্ব আরো খানিক বাড়বে ৷

জুলিয়েট-রঞ্জনা ভট্টাচার্য্য

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
জুলিয়েট-রঞ্জনা ভট্টাচার্য্য
শেষ নেই যার













গাঢ় অন্ধকার, দুটো যুথবদ্ধ ঠোঁট, 
এই মুহূর্তে কোথাও ধ্বস নামছে, 
কোনো প্রান্তে অগ্নুৎপাত, 
অনেক আলোর মধ্যে টেকটনিক নড়াচড়া, 
বারুদের ঘ্রাণ, ওষুধের গন্ধ, 
দ্রুত হৃৎস্পন্দনে  শক্তির নিত্যতা সূত্র, 
শ্মশানে ছাই উড়ছে রূপকথার, 
তবু গাঢ় অন্ধকার, যুথবদ্ধ দুটো ঠোঁট

জুলিয়েট- রুবি রায়

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
জুলিয়েট- রুবি রায়
বাংলাদেশের দক্ষিণ










আমি , আমার সর্বাঙ্গ এখন প্রোটন কণা ।
ওর শ্বাসবায়ু , আমার লোহিত কণাকে 
বিশ্লিষ্ট করে -- ক্লেভিয়াসের সৃষ্টি করেছে ।

এলাস্টিক মন চৌমাথা পেরিয়ে দৌড়ে বেরাচ্ছে । 
অ্যাক্সিডেন্ট করে , "খুন হয়েছি" বলে - বোবার চিৎকার করছে ।

আর একটু স্মৃতি খুঁটলেই স্যান্ডো গেঞ্জির 
নীচে তিল ওঠা বুকটা ....
ভার্জিন করে নিতে পারবে ।

সন্তুষ্টি তখন গেঁথে যাবে বুকের খয়েরি রক্তে ।

সেদিন ভারত বুকে নিয়ে , চলে যাব 
বাংলাদেশের দক্ষিণে ।

জুলিয়েট- সুলেখা সরকার

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
জুলিয়েট- সুলেখা সরকার 
শর্তহীন রতি










অতঃপর 
খামখেয়ালি সূর্য অস্ত গেলে, 
আটটি পুরোহিত গ্রহ চাঁদের স্লোগান নিয়ে, 
ঢুকে পড়বে পাঁজর ভাঙ্গা ঋণের ভেতর। 
নিদারুণ দুঃস্বপ্নে দেখবো একটি শর্তবিহীন রাত
গলে যাচ্ছে। গলে যাচ্ছে উজাড় রতিক্রিয়া। 
ঐ চোখে বসে থাকা এই দু-টি চোখ।
পরস্পর খুলে রাখা শরীরের বসবাস শেষ হলে, 
এক অপূর্ণ তৃপ্তি কার কাছে যাবে বলো ? 
কার কাছে তুমুল হয়ে উঠবে আবার ? 
যতটা দূরে যাও ততটাই নিঃশর্ত ভালোবাসি। 
নিপুণ প্রতিযোগিতা নেই আমার।

জুলিয়েট- তনিমা হাজরা

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
জুলিয়েট- তনিমা হাজরা 
যুদ্ধে যাবো না বলে












যুদ্ধে যাবো না বলে গুটিয়েছি হাত, 
আমার অন্তর্গত যুদ্ধ, সৈন্যক্ষয়, 
রক্তপাত, 
ঘোড়া ছুটে আসে, ধেয়ে যায় সৈন্যদল, 
ছিঁড়ে যায় বাঁধানো মলাট।।
সন্ধ্যে নেমে এলে, অস্ত্র লুকিয়ে রাখে শমীগাছ,সমঝোতা প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে মুচলেকা, সন্ধিকে মানতে শেখেনি যারা,
এ কুরুক্ষেত্রে তারা কোণঠাসা 
পদাতিক  একা।

জুলিয়েট-সবর্ণা চট্টোপাধ্যায়

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
জুলিয়েট-সবর্ণা চট্টোপাধ্যায় 
আশাভঙ্গের আগে















টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলছি আলো
আবার জোড়া দেব বলে!

যে পথ আজ সংক্রামিত
নেই... ফোটা স্পর্শের ফুল
ধানের পাশে ঝরে পড়া শিশির
হাতে তুলে নেয় না কোন ভোর!

এত শূন্যতায় আজো দুষ্টু বাদুড়েরা উড়ে বেড়ায়
যোনি খুঁটে খায়। 
পিচ্ছিল রক্তে ভাসিয়ে দেয় মাতৃদেহ…
তবু এ সভ্যতা আমার।
আমি সেই বিলুপ্ত প্রজাতির এক জীব
নিজে হাতে যারা পিটিয়ে মেরেছে তাদের ঈশ্বর।

হয়ত আর কোন দিশা নেই।
হয়ত বন্ধনী ছিঁড়ে চলে যাচ্ছে আলো
আমিও টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলছি 
আবার যদি গড়তে পারি 
তোমায়, 
ঈশ্বর! 

জুলিয়েট-রাখী সরদার

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
জুলিয়েট-রাখী সরদার
শরীরী ধ্বনি















মেঘের নীচে দাঁড়িয়ে প্রতিটি নদীই ভিজে ত্বক
যেন আধখোলা শরীরে মহাধ্বনি অবধি তন্ময়
রক্তে রক্তে বয়ে চলা মানুষের অজ্ঞাত হেমলক
সারারাত জ্বর দেহে স্বেদতপ্ত নীল করি পান।

নদীও কী অগ্নিলাল!রক্তে মাংসে অসহ্য মৌতাত!
অন্ধকারে জ্বলে ওঠে নীলছাপ জামদানী শরীর।

জুলিয়েট-প্রিয়াঙ্কা পিহু কর্মকার

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
জুলিয়েট-প্রিয়াঙ্কা পিহু কর্মকার
আচঁলের ঘর















আচঁলের ঘর তৈরী হয় পাঁচ মিনিটে ,
পাঁচিলের সমীক্ষায় নরম  চুন খসে পড়ল
কঠিন মেঝেতে ।
পরিত্যক্ত জমিতে ছেঁয়ে আছে
কার্বন কালো ধোঁয়া ।
একটু বিশ্বাম -আরামের বোঝাপড়া ,
জন্ম-বৃত্তান্ত ধুসসসস---
জল্পনা -কল্পনা পুরোটাই স্যাটিসফাইড (satisfied)
ভার্চুয়ালিটি আকাশে অস্তিত্ব নিকষ প্রাদুর্ভাব ।
পুরো বারো হাতের চেতনায় বাসা বেঁধেছে
অনির্বচনীয় আশার আকুতি ।
ভাঙনের মনুমেন্টে উঠে - ভার্জিনিটির সভ্যতায় ;-
     এক্স- ওয়াই -জেডের ,
রক্তিম সূচনা সূচিত হয়েছে.....
   আচঁলের ঘরে অশ্লীলতা হাসচ্ছে করিডোরে ,
       হ্যাঙ্গারে ঝুলছে দেখ সমাজের সমালোচিত অঙ্কুরিত ভ্রূণ...
আঙ্গিকের অ্যাশট্রেটা ভর্তি হল
                 পাঁচ মিনিটে :-
     তৃতীয় পৃথিবী গড়বে এবার .....।

জুলিয়েট-চৈতালী বসু

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
জুলিয়েট-চৈতালী বসু
সাগর









আমার সমস্তটা জীবন চলে গেল
তোমার ভালবাসার গভীরতা মাপতে ।
তবু আজও পেলাম না তার অতল স্পর্শ। 
তোমার প্রবল প্রেমের ব্যাকুল হাতছানিতে 
আকুল আবেদন-- তবু পেলাম না এখনও ফুলশয্যার ঘ্রান। 
তোমার ঊর্মিমালার স্পর্শে আমার মনতটিনি 
 চায় সমাধি হতে--তবু একটুকরো জমি মিলল না।
বাদলাকাটা রোদের মাধুর্য মাখতে লহরীর গায়ে চায় আঁচড় কাটতে--তবু হয়ে উঠল না সে ভোরের ফুল।