ত্রিফলা-জল কার্তিক ঢক্
দুটো ছাদেই পর্যাপ্ত আলো-হাওয়ায় ফুল ফুটে আছে অনেক!
মন খারাপের বিষয় গুলো বেছে বেছে স্মৃতি থেকে তুলে নিচ্ছিল সুজান, ওর দুচোখে ক্লান্তি, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে দেখতে...
আসলে একটা ত্রিভুজের ভিতরে হেঁটে চলেছে সে
কয়েক বছর ধরে, বলা ভালো হাঁটা ছাড়া আর কিছুই পাইনি সুজান , প্রচুর সময় অপচয় হয়েছে তার, ইচ্ছে করলেই থেমে যেতে পারে সুজান, তবুও কেন যে থেমে যেতে পারেনা সে!
বোধহয় অন্য মেরুর "ধরি মাছ না ছুঁই পানির" মাধ্যাকর্ষণটি সচল থাকায়...
বহুবার পূবেলাকে বলেছে সুজান তার যন্ত্রণার কথা, বলেছে তার ভিতরে ভিতরে ক্ষয়ে যাওয়ার কথা
পূবেলাও জানে সেকথা, কেননা তার ৬০°হাসি আর ৮০° দৃষ্টি নিশ্চিত করে সেই ব্যাকরণ!
তবু সে সামাজিক অনুশাসন আর অহেতুক দ্বিধার
চৌকাঠে দাঁড়িয়ে নিজের ইচ্ছে গুলোকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলছে রোজ, কেননা সে নিজেকে শুধুই মেয়ে ভেবেই বেঁচে আছে! তার ভালো লাগার সরলরেখাটিকে কখনো সন্মান করার সাহস দেখাতে পারেনি!
সুজান বহুবার বোঝাতে চেয়েছে পূবেলাকে যে,
যেভাবে নিজস্ব পৃথিবীর ভার বহন করে চলেছে সে নিজের !
পূবেলাও তার পৃথিবী নিয়ে আনন্দে থাক, হাজার ফুল ফোটাক দায়িত্ব কর্তব্যের সমারোহে, নিজের জন্য কখনোই সেখানে কাঁটার জন্ম হতে দেবে না সুজান !
শুধু একটু সময়,একটু একান্ত সময় আশা করে সে...
আসলে কেউই তো ইচ্ছে করে পুঁতেনি অদৃশ্য এই গভীর চারাটিকে, আপনা আপনি জন্ম হয়েছে তার !
একবার হয়াটস এপ্ এ একটা নূপুরপরা পায়ের ভিডিও পাঠিয়েছিল পূবেলা!
সেটা রোজ দেখে সুজান, কি সুন্দর আলতা আঁকা দুটো পা , কি মিষ্টি শব্দ পায়েলের !
এখন সেটাই শোনে! ,অবিরাম বেজে চলেছে
ঝুম্ ঝুম্ ঝুম্ ঝুম্...
শুধু সুর খুঁজে পায়না বলে সঙ্গত দিতে পারেনা সুজান!!!
তবু, দুটো ছাদেই অসংখ্য ফুল ফুটে চলে রোজ৷৷
No comments:
Post a Comment