Monday, 28 June 2021
জুন সংখ্যা ≈ প্রচ্ছদ
জুন সংখ্যা ≈ সম্পাদকীয় নয় কিন্তু
আজ থেকে সাড়ে ৪ বছর আগে সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন শুরু করেছিলাম ভাঙার লেখা এবং তরুণ দের লেখা (লেখায় তরুণ বয়সে নয়) প্রশ্রয় দেবো এই উদ্দেশ্যে। কিন্তু লেখা আসতে থাকলো আধুনিক ধারার (মর্ডান এরা) উপর দাঁড়িয়ে। ফলে সেই লেখা ভালো কিন্তু সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল-এর এথিকস্ এর বাইরে।তাই সুরু করলাম মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা। এই মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকায় অনেক নতুন তরুণ কবি এবং কবিনী দের আমন্ত্রণ করে,লেখা একটু আধটু চেঞ্জ করতে বলে, প্রকাশ করেছি।অনেকেই তা মানে, আবার বেশির ভাগই অন্য পত্রিকায় একসাথে ১২ টি কবিতা সহ পয়সার বিনিময়ে সংকলনে থেকে নিজেকে হেভি ওয়েট ভেবে নিয়েছে,তা ভাবুক,ভাবার স্বাধীনতা আছে।
আর আমি আমার ঢাক পিটালাম না ।
কিন্তু কবিতা যখন চাই,কী তোমার লেখা পাচ্ছি না কেনো?
উত্তরে যা সব শব্দ আসে,মনে হয় কী অসভ্য কাজ করেফেলেছি কবিতা চেয়ে।
একজন বলে আপনি কতদিন আছেন বাংলা বাজারে? আমি ২০১৯ এর ডিসেম্বর থেকে লিখছি।
আমি বললাম।আমি বেশিদিন না ২০০০ সাল থেকে।
ও...
একজনের লেখা মাঝের দিকে রেখে প্রকাশ করেছিলাম।বাব্বাড়ে সে কী রাগ!
মানে বুঝলুম,তার রোল নং~১ থেকে ১০ মধ্যে থাকা উচিত,তা নিশ্চয়ই তবে যাঁরা এতো বছর থেকে লিখছেন।তাঁদের লেখা?
ও মা রে..
কী করা উচিত?---
জানিনা সহমত হবেন কিনা!!!
ঝেড়ে আনফ্রেন্ড। যারা নিজেদের শুধু জাহির করে ছবি পোষ্টায়,অথচ কারো লেখার পাশ দিয়ে ঘুরতেও আসে না সারা বছর,তাদের জায়গা জড়ো করে রাখলাম না।অন্য অনেক অনুরোধ আসছে।তাঁদের দিই।
পরবর্তীতে তারা করলে??
সোজা সার্ফ এক্সেল অক্সিজেন পাওয়ার।
কেনোনা আমি লেখার সাথে কোনো কম্প্রোমাইজ করি না।
সাবধানে থাকুন, সুস্থ সাহিত্যে থাকুন।
জুন সংখ্যা ≈ কবিতায়@মনোতোষ আচার্য
জুন সংখ্যা ≈ কবিতায়@মৃণালেন্দু দাশ
এমন অসময়ে এলে তোমাকে যে বসতে দেব
সে সময়টুকুও আমার হাতে নেই ৷ এখনও পড়ে আছে
মেলা কাজ ৷এত কাজ যে মৃত্যুও এসে বারবার ফিরে যাচ্ছে
ডায়রির পাতায় আজ অব্দি একটি আঁচড় কাটা হয়নি
পরে নিশ্চই অক্ষর গুঁজে গুঁজে ভারাক্রান্ত করা হবে পাতা
স্বাভাবিক ৷ অস্বাভাবিক ব্যাবহারের পদ্ধতিগত পার্থক্যে —
জীবনও এক সাদা পাতা কত কিছু লেখা হয় মোছা হয়
তবু তার শুদ্ধতা অপিরিসীম ৷তা সত্বেও সূঁচ ফোটানোর
হাতের অভাব নেই ৷যেমন ভাতের সঙ্গে কাক
হাত একটি বিশেষ ক্রিয়াপদ সে বিরত থাকতে জানেনা
জুন সংখ্যা ≈ কবিতায়@গৌতম কুমার গুপ্ত
জুন সংখ্যা ≈ কবিতায়@দেবাশিস পাড়ুই
জুন সংখ্যা ≈ কবিতায়@বিমল মণ্ডল
জুন সংখ্যা ≈ কবিতায়@নবকুমার শীল
জুন সংখ্যা ≈ কবিতায়@চিরঞ্জিৎ বৈরাগী
ভলিনি মিথ জড়ানো চোখ-অবচেতন
পিউরিফাই স্প্রে'র সাঁটানো সেভেন
লিকার-লিভার পুল ছুঁয়ে জিরো লেভেল
লাইলা মজনু থেকে নাক্ষত্রিক রুইতন
পাঁজরের ঘাম-যোনি পেট্রোলিক লাই
হাঙরহীন সুয়েজ বন্দর
ত্রিশের ছক্কা-পুটের দৌড়
আপ-গেমের আয়তনিক আয়ন
বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন, নো জাজমেন্ট
মিস্টিক মিটার নাহি রহে
হম আম জনতা। ব্যাক কভার কিস লিয়ে
অর পেয়ার! এক ধোঁকা
জুন সংখ্যা ≈ কবিতায়@সোমা ব্যানার্জী
জুন সংখ্যা ≈ কবিতায়@অনামিকা নন্দী
নক্ষত্রের ভাঙা আলো এসে পড়ে হলুদ হয়ে আসা পাতার ফাঁকে,খণ্ড খণ্ড রাস্তায় ,
অনাহারের সন্ধ্যা নামলে খাবারের বাটি হাতে "মৃত্যু"ঘুরে বেড়ায় শহরের প্রান্তরে
যত্নে রাখা শব্দের নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে খেতে চায় নিঃস্ব আর ক্ষুধার্ত মানুষের কান্না।
পাথরের বুক চিরে বেরিয়ে আসা আবেগ দু'এক ঢোক জল খেয়ে বিকারগ্রস্ত অনুভবের মতো ভেসে থাকে
এ তল্লাটে কেউ থাকেনা যে এক টুকরো কাপড়ে পৃথিবীর লজ্জা ঢাকে....
জুন সংখ্যা ≈ অণুগল্পে@শিশির পাল
কংসাবতী নদীর পাড়ে ছোট জনপদ পলাশবনি। অনেক পুরনো গ্রাম।বর্ষার সময়ে চরম ব্যস্ত হয়ে পড়ে এখানকার লোকজন।চাষের কাজে।মানুষজনের কাজ মূলত চাষবাস।
এখানেই থাকে পবন বাউরি আর ভুবন বাউরি। স্ত্রী ছেলেমেয়ে নিয়ে একান্নবর্তী দু'ভাইয়ের পরিবারটি গত বছর ফাল্গুন মাসে, ফসল তোলার পর পরই ভাগ হয়ে গেছে। সালিশি সভা ডেকে রুলিং পার্টির লোকাল দাদাদের উপস্থিতিতে ভাগ বাঁটোয়ার করে নিয়েছে প্রায় সমস্ত জমিজমাই। কিন্তু সব তো আর সেভাবে ভাগ করা যায় না! বসত বাড়িটি দুভাগে সমান ভাগ হয়নি।উপায় নেই।কারও কম কারও বেশি হবেই।আর এই বাড়ির ভাগাভাগিটাই, ছোট ভাই ভুবনের স্ত্রী, অপর্ণার একদমই মন মতো হয়নি। এই নিয়ে অশান্তির মেঘ জমতে জমতে ভারি হয়ে গেছে।যেকোনও দিন প্রবল বৃষ্টি হতে পারে।ভুবনকে তাতিয়ে লাল লোহার মতো বানিয়ে রেখেছে অপর্ণা।পবনের স্ত্রী , বিমলাও কম যায় না।পবনকেও উপযুক্ত প্রতিপক্ষ তৈরি করেছে।দু'জায়ে কেউ কারোর ছায়াও মাড়ায় না।
যে কোনও মূল্যে পছন্দের ঘরটা অপর্ণার চাই।পরিবার পৃথক হওয়ার আগে দুই ভাই পবন আর ভুবন ঠিক রাম লক্ষ্মণের মতো ছিল।এখন রাবণ বিভীষণ।অপর্ণার এটাই জয়।সে এই বিভাজনটা তৈরি করতে পেরেছে এই ক'মাসের মধ্যেই। ভুবন বা পবন এক অদ্ভুত অস্থিরতায় দিন কাটায়।
চরম ঘটনাটা ঘটারই ছিল।চাষের কাজ সেরে বাড়ির উঠোনে এসে বসেছে ভুবন।ভাদ্রের ভ্যাপসা গরমে মেজাজটাও ভ্যাপসা।তেলে বেগুনে জ্বলতে শুধু স্ফুলিঙ্গের অপেক্ষা।পবন তখনও ফেরেনি।খুব সামান্য বিষয় নিয়ে অপর্ণা নালিশ করছে ভুবনকে।ভুবন চুপচাপ শোনে।অপর্ণা অন্যদিন তালপাতার হাতপাখা দিয়ে হাওয়া করতে করতে কথা বলত।আজ হয়তো ইচ্ছে করেই হাওয়া না করে, খাবার দেওয়ার আগেই নালিশ করছে।পরিশ্রান্ত ভুবন যেন মুহূর্তে জ্বলতে পারে।কথা হতে হতে পবনও ফিরে এলে জমির কাজ সেরে। এসেই যুদ্ধের দামামা শুনতে পেল।একটাই উঠোন।শুধু হাঁটু সমান মাটির প্রাচীর দিয়ে ভাগ করা আছে। আস্তে আস্তে সবাই হয়ে উঠল ঝগড়ার রথী।মহারথী। কে শোনে কার কথা! ধিকি ধিকি জ্বলতে জ্বলতে আগুনটা হঠাৎ দাবানলে পাল্টে যায়। সকালে মাঠে যাওয়ার আগে জ্বালানির কাঠ কাটার জন্য কুড়ুলটা বের করেছিল ভুবন।মাটির দেওয়াল ঘেঁষে একটু দূরেই সেটা রেখে গিয়েছিল। নাহ্।তার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে।কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক ঝটকায় কুড়ুলটা ছোঁ মেরে তুলে, হাঁটু সমান প্রাচীরটা ডিঙিয়ে পবনের কাছে পৌঁছে গেল যমদূতের মতো।হাত দিয়ে থামাতে পারল না পবন। বিশাল কোপ গিয়ে পড়ল তার ঘাড়ে।পর পর তিন বার। লুটিয়ে পড়ল পবন।ভুবন কিংকর্তব্যবিমূঢ়।গোটা পাড়ার লোক জুটে গেছে।
পুলিশ এসেছে।ঘরের সামনে জটলা।ফিসফাস।থমথমে ভাব।আততায়ী ভুবন ঘরের এককোনে অন্ধকারে মুখ লুকিয়ে আছে।পালানোর সময় পায়নি।
পুলিশ ওকে গাড়িতে তোলে।একটা অবাক করা খুন পাল্টে দিয়েছে চারপাশের হাওয়া।শরতের বিকেল আস্তে আস্তে সন্ধ্যার দিকে এগোচ্ছে।ফিরতি পাখিদের দল উড়ে যাচ্ছে নিজের নিজের বাসায়।মাধুকরি সংগ্রহ করে সান্ধ্য পথের অবসন্ন আলোয় বাউল ফিরছে তার নিঃসঙ্গ আশ্রমে। হাতে একতারা।গলায় বৈরাগ্যের সুর।
দুরাগত গান ভেসে আসছে, ".....কেন বাঁধো দালান ঘর।একদিন মাটির ভিতরে হবে ঘর.....।"
জুন সংখ্যা ≈ কবিতায়@পার্থ সারথি চক্রবর্তী
জুন সংখ্যা ≈ কবিতায়@ বন্যা ব্যানার্জি
জুন সংখ্যা ≈ কবিতায়@মোহনা মজুমদার
উৎসমুখের বিপ্রতীপে দাঁড়ানো সদ্যোজাত ভ্রুন
ঘন,থকথকে -
শ্রোতের উজানে খাবি খেতে খেতে
অন্ধকারের সীমানা পেড়িয়ে পাকদন্ডী খেলায় ,
যখন মোহনার কাছাকাছি-
প্রবাহের শিকড় জুড়ে এলো ঘন অমাবস্যা
ঊর্ধ্বগামী মানচিত্রে তখন কিছু অনুতাপ,
অবশিষ্টাংশ বরাবর হতভাগা শিরশিরানি
আর তার প্রাকৃত বিস্তৃতি ।
জুন সংখ্যা ≈ অণুগল্পে@রঞ্জনা বসু
জুন সংখ্যা ≈ কবিতায়@দীপিতা চ্যাটার্জী
জুন সংখ্যা ≈ কবিতায়@সোমা ঘোষ
জুন সংখ্যা ≈ কবিতায়@মধুমিতা রায় চৌধুরী মিত্র
জুন সংখ্যা ≈ কবিতায়@সুতনু হালদার
অস্বস্তি
আস্তে আস্তে আমরা
সেতুটা পেরিয়ে এলাম
দু'জনেই নিজেকে তখন
স্বরবর্ণের মতো মৌলিক ভাবতে শুরু করেছি
একগুচ্ছ দীর্ঘশ্বাস আমাদের প্রতিবিম্ব হয়ে
সামনে এসে দাঁড়াতেই হুশ ফিরে পেলাম
ধীরে ধীরে মেঘ কেটে গেলে
এক আশ্চর্য বোধোদয় হ'ল
ক্ষয়িষ্ণু রাত তখন ভোরের আঁচলে মুখ ঢেকেছে
সেতুটা আমাদের আড়চোখে দেখছে
তোমার চোখে খোদিত হ'ল এক নতুন সকাল
ভূমির ওপর থমথমে কুয়াশার আলিঙ্গনে
নিজেকে রোদ ভাবতে আর কোনো অস্বস্তি হচ্ছে না