Monday 27 July 2020

| আপনার সাথে রবিবারে ৫টি কথা | | কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় |

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা | | ২-য় বর্ষ ||


আজ মল্ল সাহিত্য -পত্রিকার "আপনার সাথে রবিবারে ৫টি কথা"- থাকছেন কবি কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় নয়ের দশক থেকে লেখা প্রকাশিত হয় কল্যাণ দা সাহিত্যের পাশাপাশি ফোটোগ্রাফি এবং ছবি আঁকার মতো শিল্পের সাথেও যুক্ত 



আমি অভিজিৎ দাসকর্মকার । আমি মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকায় নতুন ১টা বিষয় প্রতি সপ্তাহে বের করছি 
" বরিবারের ৫টি কথা "। এই পর্বে আমি আপনার সাথে কথা বলার জন্য এসেছি। আপনার ব্যস্ত সময় থেকে আমাদের এবং এই ই-পত্রিকাকে ও আপনার কবিতার পাঠকদের জন্য আপনার কথাগুলো বলেন।

কেমন আছেন আপনি এবং আপনারা এই সংকটের কালে?
মল্লসাহিত্য ই-পত্রিকার ‘রবিবারের ৫টি কথা’ বিভাগে আমাকে আমন্ত্রণের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।প্রথমেই বলে রাখি আমি কবি নই, কবিতাকর্মি মাত্র।কবি হবার ক্ষমতা বা ধৃষ্টতা কোনোটাই আমার নেই।শুধু্ এটুকুই বলে রাখি, কবিতাকে আমি ভালোবাসি।কবিতাই আমার জীবন এবং নিয়তি।
সংকট বললে কম বলা হবে।এটা একটা মহাসংকটের সময়। আমাদের আগের অনেক প্রজন্মই এমন মহাসংকটের মুখোমুখি হয়নি। আমরা এর সাক্ষী রয়ে গেলাম।একটি বদ্ধ জীবনের প্রাণী বলে নিজেকে এবং নিজেদের মনে হচ্ছে।ভেতরে ভেতরে নিজের মন ও অস্তিত্ব ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে।কোনো নতুন চিন্তা নেই মনে, যেন চেতনাহীন হৃদয়। বারবার মনে হয়, এর শেষ কোথায় সেদিকেই তাকিয়ে থাকতে থাকতে একদিন আমরাই শেষ হয়ে যাবো না তো?
-----
১) আপনি কবে থেকে কবিতা লিখছেন এবং সাহিত্যের সাথে যুক্ত?
 কবিতা বা সাহিত্য আমি সৃষ্টি করবো এরকম চিন্তা ও চেতন আমার মনের ভেতর বাসা বেঁধেছিল স্কুল জীবনে ক্লাস সেভেন-এইটে পড়ার সময়, ১৯৮৬-৮৭ সাল থেকেই।ক্লাস টেন থেকে খাতায় কলমে তার বহিঃপ্রকাশ।সালটা ১৯৮৯-৯০।এই সময়েই সত্যজিৎ রায় সম্পাদিত ‘সন্দেশ’ পত্রিকায় আমার প্রথম লেখা গল্প প্রকাশিত হয়।‘সন্দেশ’-এর বেশ কিছু সংখ্যায় আমার আঁকা ছবি ও ফোটোগ্রাফিও প্রকাশিত হয়।যে সংখ্যাগুলির সম্পাদক ছিলেন স্বয়ং সত্যজিৎ রায়, লীলা মজুমদার ও নলিনী দাশ-এর মতন মহান মানুষেরা।সেই সময়ে আমি কবিতার থেকে বেশি গল্পই লিখেছি।যদিও তার খুব কম লেখাই প্রকাশিত হয়েছে।এই সময়ে কবিতাই বেশি প্রকাশিত হয়েছে এবং এখনও লেখালিখির মধ্যে কবিতাই বেশি। আজ অবধি নিরবধি চলে আসছে তার নিরলস চেষ্টা, চর্চা।
২) আপনি ক্যানো কবিতা লেখেন? কখনো যদি কবিতায় না আসতেন অবসর সময় কিভাবে কাটাতেন?
 কবিতা না লিখে বেঁচে থাকতে পারবো না, তাই কবিতা লিখি।নিজেকে সৎ রাখবো বলে কবিতা লিখি।বিশ্বপ্রকৃতির সাথে তথাকথিত ঈশ্বরের সাথে নিজেকে যুক্ত করবো বলে, নিজেকে তাদের সাথে বিলীন করবো বলেই আমার কবিতালেখা।
মন তো স্রোতের মতন।স্রোত মনকে  যেদিকে বেশি টেনে নিয়ে যায় মন সেদিকেই যায় ও অবস্থান করে।আমার মনেরও কবিতা ছাড়া আরো বেশকিছু বিষয় ছিল, যেমন ফোটোগ্রাফি, গান, ছবি আঁকা।স্রোত যদি কবিতার কাছে আমার মনকে নিয়ে গিয়ে আছড়ে না ফেলতো তবে ওইগুলির কোনো একটিতে তো নিয়ে গিয়ে ফেলতোই, তাদেরই একটা না হয় আমার অবসর যাপনের বিষয় হতো।
৩) দাদা আপনিতো অনেক বছর পত্রিকা প্রিন্ট আকারেই সম্পাদনা করছেন। বিভিন্ন ধরনের লেখা নিয়েও থেকেছেন। আচ্ছা ১জন সম্পাদক হিসাবে এইসময়ে আপনার কাছে কেমন ধরনের কবিতা বেশি প্রাধান্য পাবে?
প্রশ্নটি আমার কাছে খুব পরিষ্কার হল না।তবু বলি শুধু মাত্র এই সময়েই নয়, সবসময়ই আমি চাই এই মুহূর্তে যে নতুন কবিতাটি লেখা হল, তার নির্মাণ, শব্দ প্রয়োগ, প্রকাশের ভঙ্গি সেটাকে পেরিয়ে যাক অব্যবহিত কিছু সময় পরে লেখা কবিতাটি।আসলে বলতে চাইছি প্রত্যেক কবির চেষ্টা করা উচিত তার প্রতিটি লিখিত কবিতাকে নতুন ভাবে প্রকাশ করা।নিজেকে ভেঙে ভেঙে এগিয়ে যাওয়া।প্রতিটি কবিতাতেই যেন পরীক্ষামূলক উত্তরণ ঘটে।তবেই নতুন কবিতার জন্ম হবে। এটা সব সময়ই একজন কবির কাছে পাঠকের কাম্য।
 ৪) আপনি তো প্রিন্ট পত্রিকার সাথে সরাসরি যুক্ত এবং ওয়েবজিনেও লিখছেন। সম্পাদক হয়ে এই ২টি ভিন্ন মাধ্যম web.mag, print media-কে আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
এগিয়ে যাওয়া অর্থাৎ উত্তরণই মানবসভ্যতার বেঁচে থাকার একমাত্র উদ্দেশ্য।পরিবর্তন ও আধুনিকতাই মানুষের গ্রহণ করা উচিত।জীবনকে একটি নির্দিষ্ট পরিসরের মধ্যে ধরলে আমার জীবনের বেশির ভাগটাই প্রিন্টমিডিয়ার সাথে কেটেছে।আমার নিজের পত্রিকাও প্রিন্টমিডিয়ার। তা বলে আমি দাবি জানাবো না যে প্রিন্টমিডিয়াই আমাদের প্রকাশের শ্রেষ্ট মাধ্যম।এই যে বললাম আধুনিকতা।আমরা তো চাইবো আধুনিকতার সর্বশেষ পর্যায়টিকে ছুঁয়ে যেতে।আমাদের প্রকাশের মাত্রা যে মাধ্যমে সর্বোচ্চ সূচকটি ছুঁয়ে যাবে আমরা সেটাই গ্রহণ করবো।মোবাইলফোনের অ্যানড্রয়েড ভার্সান এসে ‘ওয়েব’ এই মাধ্যমটিকে অনেক বেশি প্রসারিত করেছে।আমরা চাইবো প্রিন্টমিডিয়ার পাশাপাশি আমাদের বৃহত্তরো প্রকাশ ঘটুক ওয়েব মাধ্যমেই।মহামারির সময়ে আমরা এই ওয়েব মাধ্যমটির সমূহ ও সার্বিক প্রকাশের একটি সুফল লাভ করলাম।  আমরা যে পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি তার সামনেটা যদি অবরুদ্ধ হয়ে থাকে, অথচ আমাকে লক্ষ্যে পৌঁছুতে হবেই তখন তো আমি বিকল্প পথের চেষ্টা করবো।ঠিক সেভাবেই এই মহামারির লকডাউনের সময়ে আমাদের প্রিন্টমিডিয়ার পথটি অবরুদ্ধ, বিকল্প বলতে খোলাছিল ওয়েব মাধ্যমটি।সেটির প্রকাশ যেমন বিপুল আকারে হল, তেমনি বিকল্প পথ হিসাবে অনেকেই এটি ব্যবহারে বাধ্য হল এবং একটি অভ্যাস তৈরি হল যা আমাদের সমাজ ও সভ্যতাকে অনেকটা আধুনিক করলো।বাধাই পারে বিকল্প পথ খুলে দিতে ও সভ্যতাকে উন্নীত করতে।
৫) এখন অজস্র কবিতা লেখা হচ্ছে।বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশও হচ্ছে। কিন্তু তারপর আর কবি এবং কবিতাগুলির হদিশই পাওয়া যাচ্ছে না। আপনার মতে এর কারণ কী?
এখন বা বিগতের প্রশ্ন নয়, যুগে যুগে আমরা এই একই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি বারবার।সৃষ্টির পথ এমনই।স্রোত এভাবেই বয়ে যায়।সবকালেই সব শতাব্দিতেই যা সৃষ্টি হয় তার সামান্য কিছু শতাংশ থেকে যায় আলোর ভেতর।বাকি যা সব হারিয়ে যায় কালের গর্ভে।এটাই নিয়ম। কবিতার ক্ষেত্রে আলাদা কোনো নিয়ম নেই, খাটেও না। তবু এই যে এত এত কবিতা লেখা হচ্ছে, প্রকাশ হচ্ছে, কবির জন্ম হচ্ছে তা তো ওই মুষ্টিমেয় কিছু কবি ও কবিতার সৃষ্টিকে আলো ধরে রাখবে বলে।ওই মুষ্টিমেয় কবিতা ও কবিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যে স্রোতের প্রয়োজন যে জলবায়ুর প্রয়োজন সেইসবই ওই হারিয়ে যাওয়া কবি ও কবিতা।আমাদের দেখতে হবে সাম্প্রতিক কী ঘটছে। আমরা সাম্প্রতিক লেখালিখির থেকে কী পাচ্ছি।নিজেদের স্রোতে কতটা ভাসিয়ে রাখতে পারছি। আগামির কথা আগামি ভাববে।আমি কবিতার জগতে আসন পাবো কিনা, টিকে থাকবো কিনা সেটা বড় প্রশ্ন নয়। আমি কবিতার ভেতর বেঁচে আছি কিনা সেটাই নিজের কাছে প্রশ্ন হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
 সরাসরি কৃতি পত্রিকার সাথে যুক্ত। এই জার্নিটা একটু share করুন ---
‘কৃতি’ পত্রিকার সাথে যুক্ত নয়, আমিই ‘কৃতি’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশ হয় ১৯৯৯ সালে।২০১৪ সালে ভারত সরকারের রেজিস্ট্রেশনের কারণে পত্রিকার নাম সামান্য পরিবর্তিত হয়ে ‘কৃতি এখন’ হয়। প্রথমে দীর্ঘদিন কখনও মাসে মাসে, কখনও দুমাস অন্তর আবার কখনও কখনও অনেক দেরিতে দেরিতে প্রকাশ হয়েছে। তবে রেজিস্ট্রেশনের পর ত্রৈমাসিক হিসাবেই প্রকাশিত হচ্ছে।
মূলত কবি দিশারী মুখোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ও ভালোবাসার থেকেই এই পত্রিকার জন্ম।কবি দিশারী মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে আমার কাকা।স্কুল জীবন থেকেই দেখেছি তাঁকে অনেক পত্রপত্রিকা সম্পাদনা করতে।তার প্রত্যক্ষ প্রভাবই আমাকে সম্পাদক (?) করে তুলেছে।তাঁর সহযোগিতা না থাকলে আমার পক্ষে এই কাজ করা হয়ে উঠতো না। পরবর্তীকালে এই সময়ের প্রখ্যাত কবি ও সম্পাদক মাননীয় প্রভাত চৌধুরী আমার পত্রিকার বিভিন্নদিকে প্রভূত সাহায্য করেছেন।এখনও করে চলেছেন। তাঁর কাছে ঋণের কোনো শেষ নেই।আর একজন মানুষ যিনি অফিস নিজের লেখালিখি কলকাতা শহর থেকে অনেক দূরের বাড়ি সামলে দীর্ঘদিন শুধুমাত্র ভালোবাসার টানে স্নেহের টানে ‘কৃতি’-র প্রতিটি সংখ্যার প্রুফ সংশোধন, পেজ মেকআপ ইত্যাদি অতি জরুরি বিষয়গুলি দেখে দেন তিনি এই সময়ের ব্যস্ততম কবি নাসের হোসেন।আমার পত্রিকার প্রকাশে তাকে একজন অভিভাবকের মতোই দেখি।আমার পত্রিকা নিয়ে এঁদের সম্বন্ধে অন্য কোনো পরিসরে বিস্তারিত বলা যাবে।
কৃতি-র সরকারি রেজিস্ট্রেশনের পর সম্পাদনার কাজে নিয়মিত সঙ্গে রয়েছেন আমার স্ত্রী শ্যামাশ্রী মুখোপাধ্যায়।পত্রিকার সহসম্পাদনার কাজে দূর থেকে বিভিন্ন উপদেশ ও নির্দেশ দিয়ে সাহায্য করছেন কবি দিশারী মুখোপাধ্যায় আর কাছে থেকে প্রত্যক্ষ সাহায্যে শ্যামাশ্রী।
না নিজের কবিতা ছাপবো বলে এই পত্রিকা শুরু করিনি। আবার বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকদের কবিতা আমার পত্রিকায় রেখে তাদের পত্রিকায় আমার কবিতা ছাপাবো বলেও আমার পত্রিকা শুরু করিনি।কেননা, এই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের ও পশ্চিমবঙ্গের বাইরের অসংখ্য পত্রিকায় আমার লেখা প্রকাশিত হত। তবে এই সময়ে সবচেয়ে বেশি যে পত্রিকায় আমার লেখা ছাপা হয়েছে সেটি কবিতাপাক্ষিক-এ।সনির্বন্ধ ভালোবাসা ও অল্প বয়সের একটা টান থেকেই এই পত্রিকার শুরু।সেরকম কোনো বিশেষ লক্ষ্যও ছিল না, শুধুমাত্র বন্ধু কবিদের কবিতা ছাপবো বলেই যেন এই পত্রিকা প্রকাশ করা।তবে পরবর্তীকালে কবিতাকেই শিরোধার্য করে কবিতা বিষয়ক বিভিন্ন গদ্য, কবির সাক্ষাৎকার, কবিকে নিয়ে গদ্য এইসবই প্রকাশ হয়েছে।হয়েছে কবিতার কোনো বিশেষ দিক নিয়ে এক একটি নির্দিষ্ট সংখ্যাও।
‘কৃতি’ কোনো বিশেষ ঘরানার কবিতা বা কবির জন্ম দেয়নি, তবে ‘কৃতি’ সব সময়ই চেয়েছে পরীক্ষানিরিক্ষামূলক আপডেট কবিতাটি প্রকাশ করতে।নতুনদের সুযোগ দিতে বা খুঁজে নিয়ে আসতে। তবে এগুলোর সবেতেই যে সফল তা বলবো না।চেষ্টাটা করেছি।একটি লিটল ম্যাগাজিনের যা করা উচিত বলে মনে করি।
আমরা এখনও এইসব কাজের মাঝে আরও নতুন কী কী করা যায় তার চেষ্টায় থাকি।আর চেষ্টা করি পত্রিকাটা যেন আমার জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সৎভাবে প্রকাশ করতে পারি।

 প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ রাত্রির নিজস্ব কথা, পুতুলপ্রেমিক, তৃণার জন্যে লেখা, সাঁতার শেখালে না কেন, লেডিস কামরার জানলা, সহকর্মী, অশ্বমেধের ঘোড়া, জলউৎসব, রক্তমাংসগাছ, সূর্যাস্তের কবিতা, ঈশ্বরের আশ্বর্য বাগান
✪✪ আপনার ২টি প্রকাশিত অথবা অপ্রকাশিত কবিতা দিন
কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়-র  কবিতা
সঙ্গম

আমিও প্রতিদিন হলুদ অরণ্যে ভালোবাসা খুঁজি
গাছের মতো স্থির স্থাণু হয়ে থাকা শরীর
আলিঙ্গন ও চুম্বনে জাগিয়ে দিতে চাই
যেন তোমার প্রতিটি সুষমায় ঝড় লাগে

কত কাল ঘুমিয়ে আছো পৃথিবীর কোলে
এবার আমার বুকে মাথা রেখে শৃঙ্গারভাষা বলো
যেভাবে বৃক্ষ গাছ তরু প্রত্যেকেই জলবায়ু বোঝে
সিক্ত বৃষ্টিরাতে বৈধ ব্যাভিচারী

আমিও প্রতিরাতে দীপ্ত শরীরের কাছে প্রার্থনাময়
বন্ধুর পথেঘাটে হেঁটে যেতে চাই
মনে হয় জলজ পাহাড় আর অতল হ্রদের ভেতর
আবহমান যাপন করি

নিজের মতন

শেষ পর্যন্ত কেউই তোমাকে বুঝবেনা

যে বন্ধু বলে কাছে আসে
তারও নিজস্ব কিছু কাজ থাকে

কতকাল হয়ে গেল নিঃস্বার্থ শব্দটা নিস্প্রভ হয়েছে

এই যে আমি তোমার কাছে আসি
আর তুমি সরিয়ে দাও
আমার দিক থেকেও কখনও কখনও একই

আসলে এসব কিছুই বাঁচার খেলা
জীবন ব্যালেন্স নিয়ে এভাবেই দিন কাটিয়ে দিচ্ছে

যেভাবে ঋতু আসে জগতে--- চোখ ও মনের ভেতর
আমরাও প্রত্যেকে প্রতিদিন নিজেকে গুছিয়ে নিই
নিজের মতন


   ধন্যবাদ কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়-কে উনি ওনার ব্যস্ত সময় থেকে আমাদের মাধ্যমে ওনার সময় আমাদের পত্রিকা এবং সকল পাঠকের সাথে ভাগ করে নিলেন এবং কিছু কথাও সকলের সাথে share করলেন মল্ল সাহিত্য -পত্রিকার তরফ থেকে ওনাকে অনেক শুভকামনা, শুভেচ্ছা এবং অশেষ ভালবাসা রইলো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন দাদা


3 comments:

  1. মুগ্ধতা কল্যাণদা

    ReplyDelete
  2. কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়ের কমিটমেন্ট ও চিন্তার আধুনিকতা মুগ্ধ করলো। কবিতা দুটিও খুব ভালো লাগলো।

    ReplyDelete
  3. কবিতার প্রতি কল্যাণের ভালোবাসা কবিতা বুঝেছে, তাই কবিতা ওকে বরমাল্য দিয়েছে। কাজের প্রতি ওর আন্তরিকতা আর জীবনে কবিতার জন্য ত্যাগের নজীর স্থাপন , যে ওকে কাছ থেকেছে সেইই জানে । এরপর মাননীয় প্রভাত চৌধুরী আর নাসের হোসেনের সমৃদ্ধ জীবনের আশ্রয় প্রশ্রয় ওকে আরও পরিণত হতে সাহায্য করেছে । আমি নিজেও কল্যাণের জীবন ও কাজ থেকে অনেক শিক্ষা নিয়ে থাকি । ওর জন্য আমার ভালোবাসা থাকবে আজীবন । ওর স্ত্রী, আমার কন্যাসম শ্যামাশ্রী ওকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করছে প্রতিনিয়ত ।

    ReplyDelete