Saturday, 25 July 2020

| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা≈ অনুবাদ সংখ্যা |

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা | | ২-য় বর্ষ ||
| অনুবাদ সংখ্যা |

লিন্দা মারিয়া বারো-র কবিতা 
রুদ্র কিংশুক 

লিন্দা মারিয়া বারো (Linda Maria Baros, 1981) রোমানিয়ার কবি। তাঁর জন্ম বুখারেস্টে। তিনি পড়াশোনা করেছেন ফ্রান্সের পারি নগরের সরবন বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য নিয়ে। রোমানিয়ান ও ফ্রেঞ্চ, দুই ভাষাতেই তিনি লেখেন মৌলিক কবিতা। আর তিনি অনুবাদ করেন দুই ভাষাতেই, নিজের রচনা এবং অন্যদের কবিতা। প্রথম কবিতা গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ২০০১-এ। তারপর আরো কয়েকটি।২০০৪- এ প্রকাশিত  তাঁর "ল‍্য  লিভর দ‍্য সিগনে দৈমব্রে" সরাসরি ফরাসি ভাষায় লেখা কবিতা সংকলন লেখা কবিতা সংকলন।

১.

রিং রোডের ওপর 

মফসসলের মেয়েরা কেবল 
               উঠে যায় বড় রাস্তায়
     আমি ইতিমধ্যেই বলেছি সেটা 
     দেয়ালগুলোর ওপর থুথু ফেলা 
               তাদের স্পার্মের লম্বা স্রোত।


করুণাবসত করুনা করোনা তাদের 
     অথবা বিরক্তিতে, বাড়িতে, চিলেঘরে 
তুমি তাদের আত্মা দেখতে পারো না
     কারণ তারা চাবি লুকিয়েছে ।

মেয়েরা মফসসলের 
লোফালুফি করে মেঘ , হাতে ফিতে
তাদের হাসি খোলে না 
পুনরায় আটকানো হাইমেনের মতো
                    রেপিস্টদের উদারতায়।

মফসলের মেয়েরা জীবন্ত 
আমি আগেই সেটা বলেছি।পৃথিবীর মতো।

২.
খনিঘোড়ারা

 যে বাড়ি পালন করেছে তোমায়, হয়তো বলেছে
 খনিঘোড়াদের গল্প রাতের বেলা:
 খনিঘোড়াদের জন্ম ও বেঁচে থাকা গভীরে
 গ্যালারি-দেয়ালের মধ্যে তাদের বাড়ি,
 তাদের টেবিল।
সেখানে তারা খায় অন্ধকার বড় বড় পিস, কয়লার 
তারা খায় হাতড়ে হাতড়ে, বাতির আলোয় 
আর গ্যালারি-দাসের মতো তারা অন্ধভাবে টানে কয়লাভর্তি ট্রাক 
তারা টানে সর্বদা চিরকাল,
 যতদিন ঘোড়াজীবন।
 তারা টেনে আনে আলো উপরিতলে।

 কিন্তু উপরিতলে, আলোয় তারা বাচে না না বাচে না না,
 এমনকি অবসরের পরে, খনি থেকে মুক্তির পরেও না ।
কারণ তারা অন্ধ হয়ে জগতে ফেরে।
তাদের কপালে লাগা অন্ধকার।

আর এভাবে তারা একটু বেশি বাঁচে, পোষমানা। বাতাসও সুগন্ধ তাদের করে তোলে রুপালি,
 ভেঙে-পড়া কয়লা শেডের নিচে, খনির উঠানে
অন্ধ
 যতক্ষণ না তারা আর একবার গর্ভে নামে।

 তাদের বাড়ি অনন্ত অন্ধকার।

No comments:

Post a Comment