|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা | | ২-য় বর্ষ ||
কোনো এক শ্রাবণ সন্ধ্যায় তোমাকে দেখছিলাম
বেহায়া বাতাস উড়াচ্ছে তোমার চুল ও শাড়ির আঁচল
স্বর্গ-অপ্সরীর মতো কটিদেশ, নদী ও নিতম্বসহ তুমি চলে যাচ্ছে
আমি বিলীন হয়ে যাচ্ছি সন্ধ্যার শেষ সূর্যের মতো
মথিত সঙ্গমশেষে দিগন্ত যেখানে নুয়ে পড়ে
গোলাপি ঠোঁট, তোমার মায়াবী চোখের মিটিমিটি তারায়।
একবার তুমিও চেয়ে দেখ এই নীল চোখের দিকে
ফেরাতে পারবে না চোখ আটকে যাবে গভীর আইরিসে।
চলো দুজনেই ভিজে যাই কোনো নীরব নৈঃশব্দ্যে...
এবঙ আমাকে কাছে ডাক
জড়িয়ে ধরো
যেনো বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজে যায় এই দেহমন।
আমাকে আর ফিরায়ে দিঅ না তোমার ওই নিপুণ সলজ্জ চোখের ভাষায়।
ছলাকলাহীন এই রাত্তিরে আমাকে ভাসাও তুমি, তোমার গহীন সাগর-সমুদ্রে
তোমাকে ছাড়া এখন আমি একটা অবহেলিত সময়ে পড়ে আছি।
দক্ষিণা বাতাসও লাগে না আমার শরীরে
আমি একা
নিদারুণ একেলা পড়ে থাকি
সারাটা দুপুর বিকেল আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
তুমি এসো, এসো প্রিয়তমা! ঢেলে দাও অবিমিশ্র রোদ ও কামনার জল
দারুণ দহলিজে আমার...
প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসায় পৃথিবীতে নেচে ওঠে ব্যাকুল বিমুগ্ধ ভ্রমর।
তুমি ছাড়া আশ্বিণের অমাবস্যায় ডুবে যাচ্ছে আমার সামনের মাঠ-ঘাট বৃষ্টিভেজা তেপান্তর।
অযাচিত, অন্ধকার শক্ত-শূন্য শিহরণে কেঁপে যাচ্ছে আমার সমস্ত বেলাভ‚মি।
তুমি এসো আমার এই নির্জলা নীলাভ‚মিতে
আপেল, আতর অথবা লেবুফুলের চাষে মগ্ন হবো দুজনে
বিপ্রতীপ মধুর হবে আমাদের এই চাষবাস, চাষের তৈজসপত্র বৃষ্টি ও বৃষ্টির বেসাতি।
যখন দেখি তোমাকে ছাড়া জোছনার তীব্র আলো আছড়ে পড়ে আমার ভিটেবাড়ি, বারান্দার চারপাশে;
আমি মর্মাহত হয়ে ফিরে আসি, আমি বারবার ফিরে আসি নৈঃশব্দ্যময় নিবু নিবু আমার জলের বিছানায়...
এসো প্রিয়তমা! আমরা পৃথিবীতে নামিয়ে আনি আরেকটা ঐশর্য্যময় সাগর
মানুষের দেহঘরে আষাঢ়স্য রোদের রোশনাই।
তিরতির করে সামনে হাঁটি সমুজ্জ্বল তারার মতো;
পথ চলতে কখনও ব্যর্থ হয় না পাথর-প্রেমিক।
এবঙ আমি দ্রুত বুঝতে পারি
প্রেমের সরলতা
সফলতা
ব্যর্থতা।
ফিরে যাওয়া কোনো বিবসন মানবীকে আমার ভালো লাগে না,
তুমি কি ফিরে যেতে চাও কোনো এক অবারিত অন্ধকার গহ্বরে?
খুলে দিলাম দিগন্তসম খাঁচার দুয়ার...
বীক্ষ্যমাণ বশরাই গোলাপের আশীর্বাদে আমি পৌঁছে যাব আমার গন্তব্যে
অমীমাংসিত কোনো সৌন্দর্যের ভেতর আমি পৌঁছে যাব
আমার ব্যথার বিড়ম্বনাসহ...
আমি গলে গলে যাব কোনো এক শান্ত-শুভ্র শ্রাবণ সন্ধ্যায়
আমাকে আর পাবে না
আমি গলে গলে যাব
গলে গলে...
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
পাখি রঙের আকাশ ------ ১০০
একটা একটা করে আলো নেভাতে নেভাতে শেষ আলোটায় হাত দেওয়ার আগেই অন্ধকার নেমে এলো। একটা অঙ্ক যেন শেষ হলো। সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে শেষ ধাপে পা রাখতেই কেউ যেন হাত থেকে পেনটা সরিয়ে নিয়ে সংখ্যা লেখার আগেই আমাকে পাশ মার্কস দিয়ে দিল। অথচ এতদিন ধরে আমরা তো পাশাপাশিই দাঁড়িয়েছিলাম। চোখ চেয়ে দেখছিলাম কোথায় কি ঘটছে। হঠাৎই মনে হল, অঙ্কটাতে আমার যেন কিছু বলার আছে। আজ যারা আমাকে পাশ মার্কস দিল, তারা কি করে বুঝলো আমার রাস্তা ? তাহলে কি না বুঝে সাড়া দিল ? এমনও তো হতে পারে, ওরা শুধু অন্ধকারটাই চিনতো। অনেক কিছুই হতে পারে। আবার নাও হতে পারে। কিন্তু এটা তো ঠিক, আমি আমাকে হাঁটতে দিয়েছি। বলতে দিয়েছি যা বলতে চাই। তাই আলো নেভার পথে একটা অন্তত দাগ থাকবে। বোঝা যাবে একটা মানুষ হেঁটে গিয়েছিল। তখন বসতির সাহস দেখাবে কেউ কেউ। নাম হবে অরণ্য।
মৃধা আলাউদ্দিন
কোনো এক শ্রাবণ সন্ধ্যায়...
কোনো এক শ্রাবণ সন্ধ্যায় তোমাকে দেখছিলাম
বেহায়া বাতাস উড়াচ্ছে তোমার চুল ও শাড়ির আঁচল
স্বর্গ-অপ্সরীর মতো কটিদেশ, নদী ও নিতম্বসহ তুমি চলে যাচ্ছে
আমি বিলীন হয়ে যাচ্ছি সন্ধ্যার শেষ সূর্যের মতো
মথিত সঙ্গমশেষে দিগন্ত যেখানে নুয়ে পড়ে
গোলাপি ঠোঁট, তোমার মায়াবী চোখের মিটিমিটি তারায়।
একবার তুমিও চেয়ে দেখ এই নীল চোখের দিকে
ফেরাতে পারবে না চোখ আটকে যাবে গভীর আইরিসে।
চলো দুজনেই ভিজে যাই কোনো নীরব নৈঃশব্দ্যে...
এবঙ আমাকে কাছে ডাক
জড়িয়ে ধরো
যেনো বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজে যায় এই দেহমন।
আমাকে আর ফিরায়ে দিঅ না তোমার ওই নিপুণ সলজ্জ চোখের ভাষায়।
ছলাকলাহীন এই রাত্তিরে আমাকে ভাসাও তুমি, তোমার গহীন সাগর-সমুদ্রে
তোমাকে ছাড়া এখন আমি একটা অবহেলিত সময়ে পড়ে আছি।
দক্ষিণা বাতাসও লাগে না আমার শরীরে
আমি একা
নিদারুণ একেলা পড়ে থাকি
সারাটা দুপুর বিকেল আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
তুমি এসো, এসো প্রিয়তমা! ঢেলে দাও অবিমিশ্র রোদ ও কামনার জল
দারুণ দহলিজে আমার...
প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসায় পৃথিবীতে নেচে ওঠে ব্যাকুল বিমুগ্ধ ভ্রমর।
তুমি ছাড়া আশ্বিণের অমাবস্যায় ডুবে যাচ্ছে আমার সামনের মাঠ-ঘাট বৃষ্টিভেজা তেপান্তর।
অযাচিত, অন্ধকার শক্ত-শূন্য শিহরণে কেঁপে যাচ্ছে আমার সমস্ত বেলাভ‚মি।
তুমি এসো আমার এই নির্জলা নীলাভ‚মিতে
আপেল, আতর অথবা লেবুফুলের চাষে মগ্ন হবো দুজনে
বিপ্রতীপ মধুর হবে আমাদের এই চাষবাস, চাষের তৈজসপত্র বৃষ্টি ও বৃষ্টির বেসাতি।
যখন দেখি তোমাকে ছাড়া জোছনার তীব্র আলো আছড়ে পড়ে আমার ভিটেবাড়ি, বারান্দার চারপাশে;
আমি মর্মাহত হয়ে ফিরে আসি, আমি বারবার ফিরে আসি নৈঃশব্দ্যময় নিবু নিবু আমার জলের বিছানায়...
এসো প্রিয়তমা! আমরা পৃথিবীতে নামিয়ে আনি আরেকটা ঐশর্য্যময় সাগর
মানুষের দেহঘরে আষাঢ়স্য রোদের রোশনাই।
তিরতির করে সামনে হাঁটি সমুজ্জ্বল তারার মতো;
পথ চলতে কখনও ব্যর্থ হয় না পাথর-প্রেমিক।
এবঙ আমি দ্রুত বুঝতে পারি
প্রেমের সরলতা
সফলতা
ব্যর্থতা।
ফিরে যাওয়া কোনো বিবসন মানবীকে আমার ভালো লাগে না,
তুমি কি ফিরে যেতে চাও কোনো এক অবারিত অন্ধকার গহ্বরে?
খুলে দিলাম দিগন্তসম খাঁচার দুয়ার...
বীক্ষ্যমাণ বশরাই গোলাপের আশীর্বাদে আমি পৌঁছে যাব আমার গন্তব্যে
অমীমাংসিত কোনো সৌন্দর্যের ভেতর আমি পৌঁছে যাব
আমার ব্যথার বিড়ম্বনাসহ...
আমি গলে গলে যাব কোনো এক শান্ত-শুভ্র শ্রাবণ সন্ধ্যায়
আমাকে আর পাবে না
আমি গলে গলে যাব
গলে গলে...
No comments:
Post a Comment