|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা | | ২-য় বর্ষ ||
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
গৌরাঙ্গ মিত্র
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
পাখি রঙের আকাশ ------ ৯৬
মঞ্চের ওপর দু'পায়ে দাঁড়ালে সামনে শুধু কালো কালো মাথা। চারপাশ থেকে আমায় ঘিরে ধরলে আমার দমবন্ধ হয়ে আসে। আমাকে দেখতে চায় ওরা। কিছু একটু দিলেই ওরা খুশি মনে বাড়ি ফিরে যায়। কেউ কেউ যায় না, একটু দূরে দাঁড়িয়ে চাওয়ার জন্যে হাতের বিভিন্ন মুদ্রা করে। একটু একটু করে আমি এখন তলানিতে। ওরা তা মানতে চায় না। বুঝতে পারি আমার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। ওরা তা বুঝতে চায় না। আমার ভয় করে। ওদের চিৎকারে আমি কান পাততে পারি না। ইচ্ছা করে মঞ্চ থেকে হঠাৎ করে হারিয়ে যাই। সকলের হাতের বাইরে। অথচ মঞ্চ থেকে কত দূরে বটগাছ। কতদিন দেখিনি আলোর সরলরেখা পথ। রোদের ভেতর দিয়ে মেঠো রাস্তায় ধুলো ওড়ে। আমি হাত পাতি। হাত শুকিয়ে কাঠ।
গৌরাঙ্গ মিত্র
এক লাইনের পাঁচটি:
1) লাইনে আছি, বে লাইনে আছি, এক লাইনেও আছি।
2) পিঁপড়ের পায়ে হাঁটছে এক লাইনের কবিতা।
3) চশমাপাখিদের উপযোগী চশমা কোনো চশমার-দোকান বেচে না।
4) বিপদের পায়ের সংখ্যা কত, আপদেরই বা ক-টি?
5) এক আকাশ ভাগ করে সূর্য-তারা আছে।
ভালোবাসা
ভালোবাসা ভালোবাসতে চায়, অর্ধেক রাজত্ব,
ও গোটা রাজকন্যা লাভ করতে চায়
রক্তপাতহীন এক লড়াই জিততে চায়।
দিবে আর নিবে, মেলাবে, মিলিয়ে দিয়ে, মেলাবার আগে Profit&loss A/C টি ভালো করে শিখে নিতে চায়
উপসংহারহীন দু-চারটি কথা পেশ করলাম শুধু।
সাত-পাঁচ
ভেবেছিলাম সাতে থাকবে না, পাঁচেও থাকব না,
প্যাঁচ-পয়জার কষব না, কাউকে কষতেও দেব না।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছি
আমি সাতেও আছি, পাঁচেও আছি।
সাধু সন্তেরা মন খারাপ করে বলেছেন:
'হোয়াইট গড প্রোপোজেস'পালের গোদা
ডিসপোজেস, শয়তান ও ঈশ্বরের মধ্যে আছে একটি সূক্ষ্মকোণ শুধু।
দু-টি আট
দু-টি আট নিয়ে মুশকিলে পড়েছি।
একটি আট অষ্টবসুদের কাউন্ট করার জন্য লাগে,
অপর একটি আট আহ্লাদে আটখানা ন্যাকামি গণনা করে।
অষ্টবসু গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজকে
সারা পশ্চিম বঙ্গ তন্নতন্ন করেও খুঁজে পাইনি।
আহ্লাদে আটখানার আট কোন ক্যাটাগরির?
অনুমান করতে পারি, অষ্টবসুর আট ব্রাহ্মণ্যবাদী আর আহ্লাদের আটখানার আটটি নিম্নবর্গীয়।
দুটি ব্ল্যাকহোল
আপাতত দু-টি ব্ল্যাকহোলের কথা জানি,
একটি সম্মাননীয় স্টিফেন হকিং এর,
অন্যটি বন্ধু অভিজিৎ দাস কর্মকারের,
দু-টি ব্ল্যাকহোলের ভৌতধর্ম ও রাসায়নিক ধর্ম আলাদা,
দু-টিই নানা রঙের আলো জমাট বাঁধিয়ে গড়ে তোলা চটচটে অন্ধকার দিয়ে তৈরি।
বিষ্ণুপুরের সুশীলদাও কার্তিক, দু-মুঠো আলো নিয়ে ছুড়ে মারছেন, অভিজিতের ব্ল্যাকহোলের দিকে,
তাঁরা অন্ধকারকে রহস্যময় করে তুলবেন।
No comments:
Post a Comment