নিমাই জানা
আততায়ী রঙের তুতেনখামেন অথবা কাঠের নর্তকী
দেহ খোলকের চতুর্থ বোতামটি খুলে দেওয়ার পর কুন্ডলিনী যজ্ঞের ভেতরে থাকা অ্যালবুমিন অনুর্বর মাঠে এখনো অযৌন কুরুক্ষেত্র ঘটে চলে
ব্যবচ্ছেদের আগেই দুইজন নাবিক মরুদ্যানের হৃদপিণ্ডটিকে নিষিক্ত ভিনিগার সমৃদ্ধ মৃত জরায়ুর আঁশটে গন্ধওয়ালা কাগজের পর্দা দিয়ে ঢেকে চলে অযুত ভ্রুণের গোপন সরোবরটিকে
শরীর এখানে ধৃতরাষ্ট্রের মতো , প্রতিদিন অজস্র পূর্বজন্ম খুঁজে বেড়িয়েছেন বিরুপাক্ষ রঙের কমলা উদ্যানটিকে , জিব থেকে টকটক নীল রঙের কণিকা গুলো ক্ষিপ্রতায় এগিয়ে যাচ্ছে কোন এক বরাহ পুরাণের দিকে
আমাদের গায়ে তখন অশ্বক্ষুরের চিহ্ন , রাতের বেলায় নদী ও কখনো কখনো কাঁচা কাঠের নর্তকী হয়ে যায়
সকলের শরীরের ভেতর একটি তিনকোনা তুতেনখামেন আছে , যে মধ্যরাতের কোন হলদেটে ডিম্বাণু ভেঙে বেরিয়ে আসে অবতল কাঁচের উপর , বেহালা একা নপুংসতার সংগীত গেয়ে চলে
কোন এক যুক্তবর্ণের সেবিকা ব্যস্তানুপাতিক টেস্ট টিউবের ভেতর অযোধ্যা ও অবতল শরীর নির্ণয় করবে কোন এক প্রাচীন কোকতীর্থে বসে
পাখি জন্মের জন্য একটি ব্যাধ আজও কামজ্বরে ভোগে
রসায়ন বুকের কাছে অযোধ্যা অক্ষরের বিষুব পুরুষেরা নৈঋত বর্ণের কেশরী পুরুষদের রোপন করে চলে
পূর্বজন্মের জন্য আমি এখনো মাংসাশী খাদক হয়ে চন্দ্রাতপ টাঙিয়ে রাখি নির্নীয়মান স্নায়ুতন্ত্রের উপর
শৈলৎ বৃষ্টি শরীরে ৩৬ দৈর্ঘ্যের অচেতন পিরামিড শুয়ে আছে
No comments:
Post a Comment