ইন্দ্রাণী দত্ত পান্না
পুঁতি, সরলরেখা ও অনন্ত
অদৃশ্য থেকে গড়িয়ে পড়ছে শব্দের পুঁতি----
দেখতে দেখতে ঘোর লাগে পাশ ফেরা হয় না
ভোর ভোর কেউ এসেছিল---
বেলফুলের ফুটে ওঠা ও সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে গেছে
ঢেঁড়সের ঘাড় মটকে কুমড়োর ডগা কেটে...
কী এত প্রতিশোধ থাকে ঘরোয়া ভুক্তভুগী হাতে!
বিশুদ্ধ দু:খের দেশে আয়ুরেখা টিকে আছে ম্যাজিক প্রতীম
নিত্য ফুরিয়ে যাচ্ছে উদ্বায়ী সমীকরণের বুকের ভেতরে রাখা আতর বিলাশ
অন্ধকার বলয় গ্রাসে ঢুকে পড়ছে আঠালো গপ্পগাছা
জলের মধ্যে পায়ের ছাপ অথবা পায়ের ছাপে জলের চিহ্ন এক বিষন্ন উপপাদ্য লিখে রাখছে যখন
'বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ' বহু দূরের হাওয়ায়...
নতুন সান্দ্রতায় মিশে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বাহী স্পর্শ সব
ধনিষ্ঠা নক্ষত্রের সাথে জন্মদাগ নিয়ে নেমে আসছে রক্ত মাখা চাঁদ।
কীসে কী এসে যায়?
ফলন্ত মহুয়া শোভার পাশে ঘরপোড়া গ্রাম
ভাঙা দরজার কঠিনের পাশে বসন্তের হলুদ পলাশ
অথচ অসম্ভব মন্থরে চলেছে পুঁতিগুলো
বিন্দুর পর বিন্দু রেখায় স্থাপন করে অনন্ত কে ধরতে চাইলে ঘোরই তো...
দিদি খুব ভালো লিখেছো।
ReplyDeleteশরতের ভার হয়ে আসা বিকেল বন্দি এই লেখায়।
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো
ReplyDeleteযাঁরা জানিয়েছেন কবিতাটি ভাল লেগেছে তাঁদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ReplyDeleteবাহ! ভীষণ ভালো লাগলো আপনার এই লেখাটা দিদি।
ReplyDelete