ব্রতী মুখোপাধ্যায়
কবিতা
১
মৃত্যুর কথা লিখতে হয় না
নিজেই লেখে
নেই
আমি জন্মের কথা লিখি
রঙিন রঙিন কথা
লিখি যন্ত্রণায়নি রং হতে হতে
২
মেয়েরা আবার পোয়াতি হয়, ধানের ক্ষেতে ঢেউ খেলে যায় বাতাস,
খড়কুটো কুড়িয়ে এনে পাখি বাসা গড়ে , জলের মধ্যে ডিম পাড়ে মাছ
মধুর ফুরো য় না
যেখানে ইচ্ছে যখন ইচ্ছে আমায় খুন করো , আমার মরণ নেই
৩
একা আসত ভীষণ শাদা বক। আসছে না । পাঁচ-সা তটা হাঁ স আসত। আসছে না ।
চেয়ে চেয়ে কখন থেকে । পথ চেয়ে । তার চোখ আকাশের দিকে । তার চোখের পাতা পড়ছে না ।
রোদ আসত প্রেম করতে । আস্কারা পেয়ে পেয়ে বেপরোয়া এখন। এখন সে অন্য কিছু। রোদনেই আর।
কেউ নেই বুঝবে বুক শুকিয়ে কাঠ।
শাদা একটা বক উত্তরের এনএইচ পেরিয়ে গাছদেয়ালের দিকে ডানা মেলে ।
চোখ ছলছল। জ্বর না । জ্বর আসছে না । একা পড়ে আছে ।
কে উ নে ই বুঝবে নয়া নজুলিজুলির বড়ো মন খা রা প।
৪
মনোজদের ভাঙাছা দের তারে যে মেয়েটি সকাল সকাল স্নান সেরে কাপড় মেলতে দেয় সাড়ে সাতটার
রোদে তার কানের রিংটি জ্যোতির্ময় লাগে , দালানের পায়রারা পালকের ঝলমলি নিয়ে তার সাথে পাল্লা
দিতে পারেই না , শিমুলের যে ডালটি এইসময় মসলিন লোহিত তাকেও কে মন তুচ্ছ তুচ্ছ লাগে
দূর থেকেই দেখি , সত্যি কীভাবে সদা সর্বদা ব্যথা বিহ্বল আমায় তখন দেখলে বর্ণলি পিনা শিখে থাকলে ও
যে কেউ পড়তে পারে , মা একদিন পড়ে ফেলেছে বলেছে , শুধু মনো জদের ভাঙা ছাদের জন্যে আমার
নিজের মা কেন যে পিওন হতে রাজি হয়নি ...
৫
শুরুতেই বলতে খেলবে না
আসবে না
বলতে
বলতে
আসতে না আসতেই ফিরে যাবে
স্মার্টফোন অর্থ তোমার মা
কফি এমন তেতো
ময়ূরের পালক দিয়ে বিছনার চাদর মেঘদুপুরের মাঠ
৬
চৈত্রের সঙ্গে দেখা শেষ রাত্রে , খোঁপা খুলে অন্ধকার ছড়িয়ে সে এই কিছুক্ষণ, দিনরমণের লক্ষ্যে ও শুকনো ঘাসে সূক্ষতম রোদের দিকে ইশারায়
সময়ের শেষ বলে কিছু নেই যে মন আমার চোখদুটোর রুদালি মাধবীদের একজনও না জানুক ছেঁড়া বোষ্টুমি অবশ্যই জানে , জানে কী অর্থ আছাড়ি আর পিছাড়ির, জানে নিচের দিকে চেয়ে থাকলেও সবসময় উঁচু উঁচু শুধুই, সাধনার জন্যেই যে নেই নেই করেও মাত্র ন'জন ডোরবেলে পিউ কাঁহা শুনবে বলে উৎকর্ণ,র্কী ফাল্গুন কী চৈত্র কী বৈশাখ, যাচ্ছি যাই চৈত্রের শেষ রাত্রে চিঠি হাতে নিমফুলের গন্ধ লেবুপাতার গন্ধ আর ওই কখনও মরণ হয় না যে গন্ধের
No comments:
Post a Comment