ঋদ্ধি ঘোষ
কাঁটাতার
কাঁটাতার ছড়িয়ে দিয়েছে সে এক মারণ অসুখ ! ঘাস-বেদী জীর্ণ। দু'একটা হরিণ কচি শাবককে নদীর আয়না চেনায়, চোখ থেকে ফিরিয়ে ন্যায় খিদের আলপনা। একই বনতল, চরাচর ; হারানো গেরস্থালির চালে কস্তুরী রোদ ঝিমিয়ে পড়ে রোজ।
মেহুলী বাতাস একদিন স্বদেশ এঁকে বলেছিল :
'এই সত্য--, রক্ত গাঢ় হ'লে ঝুঁকে পড়ে দিন।'
দো-পাকা উনুনের আলোয় মা'কে দেখি। বিন্দি, মনে পড়ে তোর ? ধান-আলুর সোঁদাগন্ধে সিদ্ধ সকাল। সেই যে-- 'তুষ-তুষালি' সেরে ফুলপিসি বেরোল ! তারপর সংবাদ। মজা ডোবা, বাঁশডগে পত্ পত্ ছেঁড়া লালপাড়, কত ব্রতকথা এভাবে গ'লে গ্যাছে...জ্বালানো চিৎকার ; জ্বলন্ত মোমে।
সহস্র সুষুপ্তী থেকে জেগে উঠল না কাচগুঁড়ো! ভাঙাকাচে বটছায়া, ক্ষত শৈশব, অনিদ্রার পাখি। বিকোনো উঠোনে ফোঁড় তোলে চেনা মুখ ; খুচরো পয়সা আর খই ছড়ানো কাঁথা। তবুও দু'পারে
শরৎ কুসুম, দশমী এলেই একাকার ইছামতী...
মন প্রাণ ভিজিয়ে দিল--শরতের এই স্মৃতি মেদুরতা
ReplyDeleteঅপূর্ব সুন্দর লেখা
ReplyDelete