দেবশ্রী দে
স্টেশন
পেরিয়ে যাচ্ছে জীবনমুখী ট্রেন
ডাকছে
হাত নাড়ছে
কেউ দিচ্ছে উঁকি
চেনা-অচেনা-আধচেনা মুখ
তবু স্টেশন এলে
দাঁড়াও
স্থির
অনুভব করো হৃদয়ের স্পন্দন
বালুকাবেলা
বালির মতোই খসে পড়ছিল
মেয়েটা। সকলেই তাকে
নির্দিষ্ট আকার দিতে ব্যস্ত
গমগমে বেলা পড়ে এলে
মাটির ভরসা দিয়েছিলাম তাকে
উঠে দাঁড়িয়েছিল নিজের পায়ে
আমার দু'হাত ধরে
হেঁটেছিল বালুচর ঘেঁষে
ঘর
তোমাকে খুলি, ঘরের মতোই
দরজা খুলে
জানলা খুলে
দেখি বাইরের আকাশ
আলোর সাথে
হাওয়ার সাথে
ঢুকে পড়ো অনায়াস
ভিতরে ভিতরে আমিও ঘর হয়ে উঠি
উঠে আসছে ক্রমশ
হিংস্র আড়চোখ। দুরিত-বিলাস
অনিমিখ পাখির নজর
কলুষিত সুখের প্রহর
শোণিত নিশানা। লোভাতুর কীটহাসি
অধিকৃত আকাশ দহন
আমাকে টানছে মগন
আমারই ভিতরে কেউ। রাতভর
জীবনের অতীত তদন্ত
পাপ
আত্মদর্শন
করার জন্য
যে আয়নার
ওপরে আমরা
ভরসা করি
নিজের অজান্তেই
প্রতিদিন তুলে
ফেলি তার
সমস্ত সত্যবাদী সীসা
No comments:
Post a Comment