সবর্ণা চট্টোপাধ্যায়
বোঝা
মা কে দিয়ে এসেছ গঙ্গায়।
এখন গাছের নিচে শুধু স্তূপাকার ছাই।
যেকথার প্রয়োজন ছিল,
তালপাতার পুঁথি-হিজিবিজি আঁকা…
মুখোমুখি হতে ভয় হয় কখনও?
মা কি বলেছিল, 'আমি ভালো নেই '?
নাকি কষ্ট হতে হতে...
শুকিয়ে যাওয়া আগাছার মতো তুলে ফেলেছ
আবর্জনা ভেবে?
পিতলের হাঁড়িতে দুধসাদা চাল,
গন্ধ ওঠা আনাজপাতি,
হোবিষ্যি কী যন্ত্রণা ছুঁতে পারে?
ছেলেরা খেতে বসে। লক্ষ্মীরা বেড়ে দেয় ভাত।
মা শুধু অলক্ষ্মী সেজে চুষে খান রক্ত!
যখন মিশে যাচ্ছে সাগর, আকাশের সাথে
খোদাই করছ জল
জিভ দিয়ে তুলে নিচ্ছো মাছ
রূপোলি কারুকাজ দেখে মুগ্ধ হচ্ছে ঢেউ।
মীনাক্ষীর তীব্র আলো
তোমাকে সাজিয়ে তুলেছে মাহারাজাধিরাজ
সর্বাঙ্গে খাঁটি সোনা
খুলে নিচ্ছে একে একে!
সে এক জলের রূপকথা
সে এক পুরোনো মন্দির
ঘন্টাধ্বনির মতো পবিত্র জাগরণ
যখন মিশে যাচ্ছে সাগর আকাশের সাথে!
No comments:
Post a Comment