আপনারা মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকার প্রথম সংখ্যা থেকে যারা এখনো অবধি লেখা দিয়ে পত্রিকাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারার সাহস এবং প্রশ্রয় দিয়ে চলেছেন,তাদের সকলের কাছে অশেষ ভালোবাসা। আপনাদের এইভাবে পাশে থাকায় মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা তৃতীয় বছরের জার্নিতে সরিক হলো। আমি সম্পাদনা করি এই ই-পত্রিকাটির,কিন্তু সবসময় বলি,কারণ বিশ্বাস করি, এই প্রয়াস শুধু আমার একার নয়,আমাদের সকলের। তাই ভালোবাসার সাথে সঙ্গে থাকুন। পড়তে থাকুন। ছড়াতে থাকুন নিজেদের লেখার লিংক শেয়ার করে।এতে আপনার লেখা সহ পত্রিকাটি ব্যপ্ত হোক প্রতিটি কোনায় ---
Saturday, 23 January 2021
জানুয়ারি সংখ্যা≈ সম্পাদকীয় নয় কিন্তু ✪ অভিজিৎ দাসকর্মকার
আপনারা মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকার প্রথম সংখ্যা থেকে যারা এখনো অবধি লেখা দিয়ে পত্রিকাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারার সাহস এবং প্রশ্রয় দিয়ে চলেছেন,তাদের সকলের কাছে অশেষ ভালোবাসা। আপনাদের এইভাবে পাশে থাকায় মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা তৃতীয় বছরের জার্নিতে সরিক হলো। আমি সম্পাদনা করি এই ই-পত্রিকাটির,কিন্তু সবসময় বলি,কারণ বিশ্বাস করি, এই প্রয়াস শুধু আমার একার নয়,আমাদের সকলের। তাই ভালোবাসার সাথে সঙ্গে থাকুন। পড়তে থাকুন। ছড়াতে থাকুন নিজেদের লেখার লিংক শেয়ার করে।এতে আপনার লেখা সহ পত্রিকাটি ব্যপ্ত হোক প্রতিটি কোনায় ---
জানুয়ারি সংখ্যা≈ কবিতা ✪ নিখিলকুমার সরকার
জানুয়ারি সংখ্যা≈ কবিতা ✪ গৌতম রায়
জানুয়ারি সংখ্যা≈ কবিতা ✪ ফটিক চৌধুরী
জানুয়ারি সংখ্যা≈ অনুবাদ ✪ স্বপন নাগ
१.
मिट्टी को छुओ
तो ऐसे
जैसा छुता है फूल
खुशबू को
जैसा छुती है किरण
रौशनी को
जैसे छुती है हवा
शीतलता को
छुता है जल
तरलता को
मिट्टी ऐसे ही छुती है
मिट्टी को
मिट्टी को तो
न अग्नि जला सकती है
न जल गला सकता है
न वायु सुखा सकती है
अग्नि, वायु, जल
मिट्टी से मिलते है
तो प्रारंभ होता है
सृजन
जैसे
मनुष्य पुराने वस्त्र
त्याग कर
नए वस्त्र
धारण करता है
वैसे ही
मिट्टी धारण करती है
वनस्पति, पशु, पक्षी
मानव रूपी देह
भेद सिर्फ रूप काम है
सच तो
सिर्फ मिट्टी है
हड़प्पा में मिली है
मिट्टी की
एक नारी प्रतिमा
जिसने पहने हैं
मिट्टी के गहने
पांच हजार साल पहले के
इंसान
जानते थे
नारी हो या गहने
अन्तत: होते है
मिट्टी
४.
आवां में
मिट्टी जलती नही
ढलती है
एक नए रूप में
पाती है
एक नए रंग
अग्नि
देता है आकार
मिट्टी को
कई रंग की होती है
मिट्टी
लाल, काली, पीली, सफेद
इंसानों के भी होते है
इतने ही रंग
रंग तो
सिर्फ यह बताते है
कि
सच तो सिर्फ मिट्टी है
रंग तो सिर्फ रंग है
জানুয়ারি সংখ্যা≈ কবিতা ✪ সুশীল হাটুই
আমি বোরোলিনের কাছে
লিরিল সাবানের গন্ধ-সংহিতা না-শুনে,
দুপুরবেলা ডাঁসানো পেয়ারার কাছে জলের
এসরাজ শুনলাম,
তারই মধ্যে ধর্মভিরু পাখিরা হারমোনিয়াম
বাজিয়ে রোদ্দুরে ছড়িয়ে দিল,
নিধুবাবুর টপ্পা,
আর ভিটামিন-বি আমার রক্তে মিশিয়ে দিল,
কিশোরী চাঁদের শীৎকার,
আমি পেয়ারাগাছের নীচে এসে দাঁড়ালাম,
তার গোলাপি ছায়াটি বলল,
তুমি ইতিহাসে হরপ্পা পেয়েছো, এবার অঙ্কে মহেঞ্জোদড়ো পেলে,
পাঠিয়ে দেব মর্গে,
আমি ভয়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে এসেছি,
০ (শূন্য) শতাব্দে,
আর ৪৫০ বছর হাঁটলেই রেটিনার মধ্যে
সক্রেটিস...
জানুয়ারি সংখ্যা≈ কবিতা ✪ দেবযানী বসু
জানুয়ারি সংখ্যা≈ অণুগল্প ✪ রফিকুল কাদির
উত্তরাধিকার
তিনি পারতেন যত্ন নিতে। কিন্তু নিলেন না। তিনি অবহেলায় নয়, অকারণেই সমস্ত দায় নিজেই চুকিয়ে দিলেন। তারপর সব পাঠ গুটিয়ে কোথায় চলে গেলেন কেউ জানলো না; জানতে চাইলোও না। কেবল এক অব্যক্ত ঘৃণা শান্ত জনরোষে জেগে রইলো।
তারপর কোন এক সকালে রাহেলা বেগমের মৃত্যু হলে কবির সাহেব উদিত হলেন। সমস্ত জনরোষ, পূর্বাপর অবহেলা- সবকিছু উপেক্ষা করে, সামাজিক কৃতঘ্নতাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে হলেন সমস্ত স্থাবর, অস্থাবরের মালিক।
কারণ তার সনদ ছিল। অথবা ডিএনএ টেস্টেও মিলে যেত; সে রিপোর্টই বলে দিত এই রাহেলা বেগমের উত্তরাধিকার।
তার অবহেলার কথা তাই প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে বসে রইল। জনরোষেরও দরকার ছিল না আর। কেবল ঘৃণা সমাজের কোন এক কোণে চুপচাপ পড়ে রইল। কারণ সে ক্লান্ত।
জানুয়ারি সংখ্যা≈ কবিতা ✪ সুবীর ঘোষ
হ্রস্বমুখ
কবে যে এ ক্ষত যাবে , কবে লাগবে হাওয়া !
সেই গন্ধ পুরোনো হলেও চারপাশে ক্রমাগত ঘোরাফেরা করে ।
যখন নিকটে ছিল বান্ধবরাক্ষসী
তখন যা শুষেছিল রক্তমজ্জাপ্রাণ
তার থেকে ভয়ঙ্কর তার আলোছায়া
এখনো
বাতাসে তার পায়ের দাপট ।
অনালোক বিশ্ব ছিল অকর্ষিত দ্বীপভূমি
স্বেছায় খাদের নীচে চলে যাওয়া বাসনায় ছিল ।
শিথিল হয়েছে মুষ্টি ক্রমযোগে
আমানত
শেষের সংকেতে...
দীর্ঘ নয় হ্রস্বমুখে আরাম তোমার বেশি
চৌমোহানি
রসে ।
জানুয়ারি সংখ্যা≈ কবিতা ✪ বিভাবসু
জানুয়ারি সংখ্যা≈ মুক্ত গদ্য ✪ প্রকাশ ঘোষাল
জানুয়ারি সংখ্যা≈ কবিতা ✪ মাসুদুল হক
জানুয়ারি সংখ্যা≈ কবিতা ✪ রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়
সবুজের মুখোমুখি দাঁড়ালাম একা
যেকোনো সবুজে ঘন ছায়া নামলে বড় অন্ধকার হয়ে যায় এ শহর
এ শহরে আমি বড় একা
অন্ধকারের ভিতর পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়
জ্বর
আসছে
ঝড়ও আসবে
নিঃসঙ্গ তিনজনে বসে কফিকাপে চুমুক দেব
শপিং মলগুলো আবারও রঙিন হয়ে উঠবে
বায়োস্কোপ-এ একসাথে চলবে তিনখানা সিনেমা
সমস্ত রুটের বাস ছুঁয়ে যাবে আমার রঙচটা জামা
তবুও আমি আর জ্বর আর আসন্ন ঝড়
একা একা একা
মুখোমুখি ঘনিষ্ঠ
শহরের সমস্ত সবুজ জাহান্নামে যাক সবুজের ওপর ঘনায়মান অন্ধকারও
প্যারাসিটামল সাথে রাখতে হবে আর
আ্যলজোলামের ভিতর যে ঘুম থাকে, সেটিও
জানুয়ারি সংখ্যা≈ কবিতা ✪ সোনালি বেগম
জানুয়ারি সংখ্যা≈ মুক্ত গদ্য ✪ চন্দ্রদীপা সেনশর্মা
শিশিরের গান
অনিদ্রার গায়ে লেগে থাকে রাত। আঠালো বোঁটায় হেমন্তের শিশির ঝরে পড়ে। তার পতন কথা বলে : 'তুমি একরকম সৌভাগ্যবতী, নির্জনে কাটালে। 'অন্ধকারে চোখ খুলে ঠাওর করি নির্জন, ভাবি সৌভাগ্যের কথা। নিঃশব্দে মাথা নাড়ি সম্মতির। মন কি সত্যি মেনে নেয় এইসব রাত্রির আলাপ? টের পাই ভিজে রয়েছে ছাদ, আধখাওয়া চাঁদ। তাদের সীমানা ভেঙে দু দুটি ফ্লাইট উড়ে যাবে। চমকে উঠে ক্ষীণ কোলাহলে বিরক্তি জানাবে বিদ্যুতের তার আঁকড়ে নিদ্রামগ্ন কাকেরা। ওরা জানে ঘরে অনিদ্রার বিছানায় আমি আছি। শীতরাতে ছাদে উঠে আসার নিষেধ এবং ওষুধে।
রাতরাস্তা উল্লম্ববাতি ভিজছে শিশিরে। আমার খুব নিকটেই কেউ বলল : 'মেনে নিচ্ছ সৌভাগ্য আমার কথার ফাঁক ও ফাঁকি?' লালচে ফুটে ওঠা শরীরের তিলে হাত বুলোতে বুলোতে ভাবি, মিথ্যা নয়। হয়তো একাকিত্ব ভাগ্য গড়ে তোলে, সে অর্থে সৌভাগ্য বৈ কি! চকচক করে ওঠে ছোট মাঝারি ওষুধের ফয়েল শিশি, হোমিওপ্যাথি অ্যালোপ্যাথি। স্কচরঙে স্বপ্ন নামে দুচোখে। ঘুম আসে না। খর চামড়া খুঁটি, একটি শুভ্র ক্যানভাসে হেলান দিয়ে কেটে গেল প্রায় মধ্যবয়স, খুব কি একা? মনে এল সমৃদ্ধির বাইরে এলোমেলো বসবাস। প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলাম প্রশ্নের প্রতি : 'তুমি কি এসে বসোনি পাশে, নিভৃতি ঘেঁষে বিশ্রামহেতু?' কেউ হেসে উঠল, সেই মুহূর্তে দ্বিতীয় ডোমেস্টিক ফ্লাইটটি উড়ে গেল। কা কা কা কা...
রাস্তার মলিন আলো ভরে তুলেছে বিনিদ্র বিছানার বেগুনিফুলের এমব্রয়ডারি, কেউ কি হাত ছুঁল?--হয়তো। নিষ্পলক দেখে চলল, বলল : 'বয়স হয়েছে তোমার, রুপোলি চুলে ঢেউ শান্ত হয়েছে, যখন একঢাল হাঁটুছোঁয়া চুল ছিল, তীব্র ঢেউ ছিল, খেলতে চেয়েছিলাম সাঁতারে সাঁতারে। কী আশ্চর্য আদিগন্ত ঢেউ নিয়ে তুমি শান্ত ছিলে। আমার বৃষ্টির ভিতরে কোনোদিন আসনি। অপাপবিদ্ধ খেয়ালে খুশিতে ছুঁয়েছিলে। বল, আত্মবিশ্বাসে তুমি কি ছিলে না টইটুম্বুর সৌভাগ্যশালিনী? ' এখন গভীর রাত, চোখ ভারী। প্রতিহেমন্তে বিনিদ্র স্বপ্ন ঘিরে থাকে, প্রশ্ন করে, চলে যায়। সম্মতির মাথা নাড়ি। আমার কি কোথাও যাবার ছিল, আজও আছে?
'Hey, Mr. Tambourine Man, play a song for me
I'm not sleepy, and there is no place I'm
going to
Hey, Mr. Tambourine Man, play a song for
me
In the jingle jangle morning I'll come
followin' you'
রুপোলি চুলে হাত দিয়ে খুঁজি ঘন নিশ্বাস। আকাশ এখন ক্রিমসন। ঘুমের পরাবৃত্তে আরো একটি রাত মুছে যাচ্ছে, শিশিরজিঙ্গেল