Saturday, 23 January 2021

জানুয়ারি সংখ্যা≈ কবিতা ✪ দেবযানী বসু

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা ||  দেবযানী বসু   

দর্শকদের জন্য

একেক সময় সাফাই গাইতে হয়। সিঁড়ির বাঁদিকের মতলব দক্ষিণদিককে জানাতেই হয়। তার মধ্যে পায়ের দুমদাম সত্তর ছুঁইছুঁই। হলঘরের ফোয়ারার ঠিক নিচে আমার মডেলের হৃদপিন্ড পোঁতা।পার্থ কঙ্কাল সেবির ঘর ঘাড়ের কাছে নাচছে। সুইগি আর অ্যামাজন বোড়ের সম্মান পায়। প্রথম সারিতে। মডেলের আলংকারিক চুম্বন সারাক্ষণ থরথর। সিগারেটের লাইটারে সঞ্জীবনী লুকিয়ে। আবার নতুন বন্ধুত্ব জাগে। মঁ মঁ করে ওঠে নতুন পয়রা গুড়।

নক্ষত্র সাক্ষী

ক্রমশ ভুলছি পুরোনো চার্জার হারিয়ে ফেলার দুঃখ। অনুভূতির এ টু জেড। সূর্য দ্রুত উড়ে চলেছে চোখের পাতায় ডাহুকি পায়ে। তখন বাসুকি শাসনের আমল ঢোকে ঘরে। সাপের দীর্ঘশ্বাস রসায়নাগারের কাচে ধাক্কা খায়। চোখের লোম সব ক্যাকটাসের সাদা কাঁটা। এ বছর দেখা গেল আমরা বরফমানুষ ঠিক রাত বারোটায়।তাই যথেষ্ট। যথেষ্ট শব্দটি প্রথম বিশ্বের নাগরিকদের জন্য মোটেও মোলায়েম নয়। নিচে গাড়ি উপরে পাবের জানলায় ভরাট মুখ রয়েল বেঙ্গল টাইগারের। নির্বাসনের কবিতা হলঘরের ফোয়ারাটিকে লং এক্সপোজারে স্তরস্তরায়িত করে রাখে।


ভিক্ষুনীতি

যথেষ্ট শব্দটির মধ্যে কাশ্মীর ভ্রমণ অন্তর্ভুক্ত করতে পারি নি। ছোট্ট দিনটির সূর্য একটু বেশি গোলাপি ছিল মনে পড়ছে। ঠান্ডার ভিতর যাত্রা শুরু করেছে অপরদিকের চাঁদ। গাছের প্রতিটি পাতা হায়নার জিভ। আরেকটা বাঁক নিলে পাইনশ্রেণি দুলে উঠবে। ওদের ডিজিটাল পদাবলী পড়ি। সিগারেট টেনে নিচ্ছে কুয়াশা। রাতের কথা ভেবে দিন নিজেকে গুটিয়ে নেন।দরকার কথা ভেবে জরায়ু সেভাবে।জ্বলছে নিভছে অর্কিড বৃক্ষের নিচে। আত্মা বেরিয়ে যাবে হয় মুখ নয় পায়ুপথে।

No comments:

Post a Comment