৩০শে ডিসেম্বর,২০২০/১৫ই পৌষ,১৪২৭
মসজিদের ভেতর পাক নৈঃশব্দ্য বিছিয়ে রেখেছে জন্নত।খানাবদোশ জিন্দেগি থেকে দু-চার মহলত্ অচেনা হয়ে যায়।সুলতানী ঈদগায় ছুঁয়ে থাকি ফরস্; ভগ্নস্তুপের ওপর যন্ত্রণারা পাটরানী হয়ে শাসন করে চলে।মিনারেটের গায়ে লাল দাগ-এ বন্দুকের গুলির ক্ষত কিংবদন্তীর মত থেকে যায়, এখনও ডেকে বলে 'পথ্থর অভীভি জিন্দা হ্যায়'।ঘাসের ওপর 'দাখিল দরোয়াজার' পায়ের ছাপ।নবাবী আতরের গন্ধে 'ম' 'ম' করে কোতোয়ালী দরজা।
উঁচুতে দাঁড়িয়ে জমির শক্ত করি,সারি সারি ট্রাকের চাকার আওয়াজ এর সঙ্গে ওপার হতে ভেসে আসে প্রিয় ভাষা। কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে আছে ওদিকের বিলের জওয়ানি–এপারের ডোবা ছুঁতে চায় আরও নিবিড়ভাবে।মেহেদিপুর এভাবেই বাবার গল্পের বাংলাদেশকে সযত্নে পাহারা দিয়ে যায়। টেরাকোটার খিলানে শতাব্দী প্রাচীন ইটেদের ওয়জুদ ধরে রাখা;
ঘোড়সওয়ারেরা একদিন মাতিয়ে রাখত এইসব ইটেদের বুক।শাহী-কারাগার থেকে কয়েদিরা আমের বোলের গন্ধে যেদিন ইয়াদ্দাশ হারাত—শাস্তির অন্ধকার পথ অনেকটা দূরে...
একসঙ্গে হেসে উঠত গৌড়-আদিনা।
No comments:
Post a Comment