হেল্পার
সীতাই ছিল খারাপ পাড়ার মেয়ে, মহিলা সমিতির কাজ করতে গিয়ে তার সাথে আলাপ মায়ের.সীতাইয়ের মা বেশ্যা ছিল, সীতাইয়ের বিয়ে হয়েছিল হেবোর সাথে. হেবোর মা ও বেশ্য়া ছিল. হেবো দিনে ভ্য়ান চালায়, রাতে মেয়েছেলের দালালি করে. দিন রাত আকন্ঠ ধেনো খেয়ে থাকে. সীতাই আর হেবো বিয়ের পর ভদ্র বস্তিতে সংসার পেতেছিল,ওদরে একটা মেয়ে হল. অভাবের তাড়নায় সীতাই রাতে চলে যেত খারাপ পাড়ায়. হেবো মাঝে মধ্যে খুব মদ গিলে আশে পাশে চারটে পাড়ায় চিৎকার করে জানিয়ে দিত তার মেয়ে বেজন্মা নয়. সে হেন সীতাই আমাদের বাড়ি বহাল হল তোলা কাজ করার জন্য.মার শর্ত ছিল পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে কাজ করতে হবে.
সীতাই মাসের এক তারিখে তিরিশটা শ্যাম্পুর পাউচ কিনত, আর ডেটল সাবান. কনকনে শীতেও সীতাই ভোর পাঁচটায় সাবান শ্য়ম্পু দিয়ে পুকুরে চান করে আলাদা করে কাচা কাপড় পরে কাজে আসত. কাজের পর ওই শাড়ি সাবান দিয়ে ধুয়ে মেলে দিয়ে তবে অন্য় কাজে যেত সে. বলত অনেক জন্মের পুন্নির ফল, দিদি আমারে কাজ দেচে, সম্মানের কাজ.পবিত্র না হয়ে সে কাজ করা যাবেনি বাবা! সীতাইয়ের মেয়ে ক্লাস এইট পর্য়ন্ত পড়ার পরে ভদ্র বাড়িতে বিয়ে দিতে পেরেছিল সীতাই . মার কাছে নাম সই আর পড়তে ও শিখেছিল . ব্যাঙ্কের খাতায় সই করে প্রথম টাকা তুলে সীতাই ২০০ বাতাসা দিয়েছিল মার হাতে,প্রনামী.মা সেই বাতাসা দিয়ে তুলসী তলায় হরির লুট দিয়েছিলেন. আমৃত্যু সীতাই মার হেল্পার ছিল.
খুব ভালো ❤
ReplyDeleteখুব ভালো ❤
ReplyDelete