উত্তরাধিকার
তিনি পারতেন যত্ন নিতে। কিন্তু নিলেন না। তিনি অবহেলায় নয়, অকারণেই সমস্ত দায় নিজেই চুকিয়ে দিলেন। তারপর সব পাঠ গুটিয়ে কোথায় চলে গেলেন কেউ জানলো না; জানতে চাইলোও না। কেবল এক অব্যক্ত ঘৃণা শান্ত জনরোষে জেগে রইলো।
তারপর কোন এক সকালে রাহেলা বেগমের মৃত্যু হলে কবির সাহেব উদিত হলেন। সমস্ত জনরোষ, পূর্বাপর অবহেলা- সবকিছু উপেক্ষা করে, সামাজিক কৃতঘ্নতাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে হলেন সমস্ত স্থাবর, অস্থাবরের মালিক।
কারণ তার সনদ ছিল। অথবা ডিএনএ টেস্টেও মিলে যেত; সে রিপোর্টই বলে দিত এই রাহেলা বেগমের উত্তরাধিকার।
তার অবহেলার কথা তাই প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে বসে রইল। জনরোষেরও দরকার ছিল না আর। কেবল ঘৃণা সমাজের কোন এক কোণে চুপচাপ পড়ে রইল। কারণ সে ক্লান্ত।
No comments:
Post a Comment