সাদা কাপড়
উপেক্ষা করতে মন সায় দিলো না। ওর বলায় খুব আকুতি ছিলো। না কি ওর কথা বলার ধরনটাই এমন! সে যাইহোক। শোক সনতপ্ত বরুণ এবং তার পরিবার ।
ভোর ছ'টা। আযান দিচ্ছে । বাইরেটা তখনো অন্ধকার। প্রাত্যহিকী সেরে তৈরি পুলক তৃণা। সবাই ঘুমুচ্ছে। মা কে না বলে গেলে খুব অভিমান জমিয়ে রাখে। গতরাতে ঘুমুতে দেরি করেছে। দু'বার ডেকে সারা না দেয়ায় বিরক্ত না করে চলে গেলো।
নির্ধারিত জায়গায় অপেক্ষা করছে পুলক আর তৃণা। বরুণের বন্ধু ধীমানও যাবে ওদের সাথে। সেও অপেক্ষা করছে। ভোরের নতুন সূর্যালোকে তৃণা অনেক দিন পর লম্বা ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দাঁড়িয়ে আছে আরো অনেকে। ছবিগুলো হাঁটে, নড়ে, হাত নাড়ে। তৃণা তাকিয়ে থাকে। ছোটবেলা ছবি নিয়ে খুব খেলতো। মনে পড়ে মা বকা দিতো। বলতো, রাতে বিছানা মুতে ভিজাবি। কেনো যে বলতো বুঝেনি আজও।
দাদা টাকা দে না, ভাত খাইতাম" ছেলেটি বলে যায় । পুলক চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। ছেলেটি সরে যায় তৃণার কাছে। দিদি রুটি খাইতাম, দে টাকা দে দিদি। দে না দিদি"। তৃণা দশটা টাকা দেয়।
মনে পড়ে কত কথা। দিলীপ রতন, ছবি। বংশ। রক্ত। গোষ্ঠী।
আহ্! একমুঠো ভাত!
এই একমুঠো ভাতের জন্য ওরা মিশে গেছে কোথায়? কোন ভিড়ে? ভাবনায় ফেলে এরই মাঝে গাড়ি চলে এসছে।মাসি মেসোকে নিয়ে।চোখে ভেসে ওঠে সাদা কাপড়।
No comments:
Post a Comment