আগামী শতকের কবিতা
একটু বেচাল হচ্ছি এবার,আমার এপিডার্মিসে এককালে মাছি বসতোএখন আর বসে না।আগে মাংসাশী ছিলাম নির্দিষ্ট প্রাণীর, এখন পতঙ্গভূক, চৈনিক পদব্রজে গিয়ে ভাষাটাও একটু ওদিক করে নিয়েছি।
আমার গাড়ী বারান্দায় গ্যারেজ করা আছে একটা ন্যানো এরোপ্লেন,ওটাতে চড়ে বাজার যাই, অফিসে যাই, কবি সম্মেলনে যাই,এখন হাই হ্যালো থেকে সম্বোধন নয়,নানান দেশের খিস্তির অভিধান কিনেছি।সম্প্রতি একটি রাফেল আর এফ সিক্সটিনের সংমিশ্রণে তৈরী রাক্সটিনের অর্ডার দিয়েছি।
আমার একটি ব্যবিলনের উদ্যান আছে,কুতুবমিনার থেকে দেখা যায়,আইফেল টাউয়ার থেকে হাত বাড়িয়ে ব্ল্যাক ড্যাফোডিলস তোলা যায়,আমার দৃষ্টিতে এখন হান্ড্রেড জি'র ফোকাস, আমাকে নিশাচর বলে অজিন তুলে শার্দুল চামড়া পরেছি।গলায় বৃংহতি মাথায় টারবান।
আপনিও উদোম চামড়ায় নানা রঙের কবিতার ছবি এঁকে ঘুরে বেড়াতে পারেন,মহিলা কবিদের দেখুন,শরীরে শকুন্তলা গোত্রের ফুলের পোষাক,তখন চেনা যায় এঁরা কবির এলিট শ্রেণীভুক্ত।অবতার ছবির মতো গ্রীবা, চলনে অতীব মাত্রাবৃত্ত, ছন্দে ছন্দে দোলে কাব্যগান,আকাশের গা থেকে ঝরে পড়ে অজস্র নীলাভ কিসিং হাই।
No comments:
Post a Comment